শ্রেয়া চ্যাটার্জী: ধুনুচি নাচ দুর্গাপূজার একটি অঙ্গ। কলকাতার পুজোর পাশাপাশি গ্রামবাংলায় ধুনুচি নাচ নিঃসন্দেহে একটা বড় জায়গা দখল করেছে। ধুনুচি নাচ কে নিঃসন্দেহে কোন লোক নৃত্যের সাথে তুলনা করা যায়। যদিও অনেকে একমত নাও হতে পারেন। লোকনৃত্যের যদি একটা সাধারন সংজ্ঞা খোঁজা যায় তাহলে সেটি এরকম দাঁড়াবে কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ কোনো অনুষ্ঠান বা কোন আচার বা উৎসব কে কেন্দ্র করে মনের আনন্দে দলবদ্ধ হয়ে যে নৃত্য পরিবেশন করে তাকে বলে লোকনৃত্য। যদি এই ছকে ধুনুচি নাচকে রাখা যায় তাহলে দেখা যায়, দুর্গাপূজার সময় বাঙালিরা মনের আনন্দে তালে তালে দলবদ্ধ ভাবে নেচে থাকে, সুতরাং একে লোকনৃত্য বলাই যায়। আজ থেকে দশ বা পনের বছর আগে বাঙালি ছেলেরা ধুতি পরে দুহাতে ধুনুচি নাচ করত এবং ঢাকি দের বাজনাও ছিল রীতিমতো শাস্ত্রীয়।
তবে এখন থিমের গুঁতোই সাবেকিয়ানা হারাতে বসেছে। তাহলেও এই প্রজন্ম যদি ধুতি পরে ঢাকের তালে নাচ না করলেও তারা কিন্তু মাঝেমধ্যে ধুনুচি নাচ নাচে। বিশেষ করে গ্রাম বাংলার মানুষরা এই ট্র্যাডিশন এখনও বজায় রাখেন। ধুনুচি নাচের কিছু বিশেষ ভঙ্গি ও পদচালনা আছে একাধিক ধুনুচি হাতে নিয়ে নাচ করা সেটাও বেশ দক্ষতার অবকাশ রাখে। আগে বিভিন্ন পূজামন্ডপে ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হতো। এটি মূলত ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নিয়োজিত একটি নৃত্য। মাটির ছড়ানো মুখ যুক্ত পাত্রে নারিকেল ছোবড়া ও আগুন দিয়েই এই নাচ করা হয়।