পঞ্চায়েতের কাছে দুর্নীতি বন্ধ করতে এবারে বড় পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। নিয়মিত নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এই কাজে নবান্ন ডিভিশনাল কমিশনার জেলাশাসক মহকুমা শাসক এবং বিডিওদের কাজে লাগাতে চাইছে নবান্ন। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত চালু করে বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করে রিপোর্ট পেশ করবেন তারা। এজন্য ইতিমধ্যেই একটি পোটাল তৈরি করা হয়েছে এবং নবান্ন থেকে সারা রাজ্যে এই পোর্টালের মাধ্যমেই হবে নজরদারি।
শুক্রবার রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব পি উলগানাথন ডিভিশনাল কমিশনার এবং জেলা শাসকদের চিঠি দিয়ে এই বিষয়ে অবগত করে দিয়েছেন। এই চিঠিতে পরিদর্শনের কাজ নিয়ে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে কোন পদমর্যাদার আধিকারিককে কি কি করতে হবে, এবং প্রত্যেককেই কোটাল এর মাধ্যমে সময় মত রিপোর্ট এবং একশন টেকেন রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এই সমস্ত কিছুর মাধ্যমে প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় নজরদারি নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য সরকার।
ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েতের কাজ বিশেষ করে ১০০ দিনের গ্রামীন কর্মসংস্থান প্রকল্প নিয়ে বিস্তর ভুয়ো খরচ এর অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।। কেন্দ্রীয় সরকার গত ডিসেম্বর থেকে এই প্রকল্পের বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে গত আর্থিক বছরে এই প্রকল্পে কাজ করার জন্য শুধু মজুরি বাবদ ছ হাজার কোটি টাকার বেশি পাওনা হয়ে রয়েছে রাজ্য সরকারের। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম পাঁচ মাস কেটে গেলেও এই প্রকল্পের কোন টাকা পাওয়া যায়নি। উপরন্তু পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে খরচ নিয়ে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে তরফ থেকে অফিসার পদমর্যাদার আধিকারিকদের প্রতিনিধি দল রাজ্যে পরিদর্শনে এসেছে। প্রায় এক মাস ধরে তারা বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন রিপোর্ট তৈরি করেছে এবং তারা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে দিয়েছে। রাজ্যকেও পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বেআইনি খরচের কথা জানিয়ে থানায় এফআইআর করা এবং এই টাকা উদ্ধার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।