পুজোর আগে রাজ্যবাসীর জন্য নতুন সুখবর। এবারে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে নতুন সুখবর দিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা বা WBSEDCL। এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলের খরচ কমে যাবে রাজ্যবাসীর। রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা এতদিন পর্যন্ত তিন মাস অন্তর বিদ্যুৎ বিল পাঠাতো গ্রাহকদের। তবে এবারে সেই নিয়মের অবসান হতে চলেছে। সম্প্রতি রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বিধানসভায় ঘোষণা করেছেন, বিদ্যুৎ বিল এর নিয়ম পরিবর্তনের কথা তারা ভাবছেন। তিনি জানিয়েছেন নতুন যে নিয়ম লাগু হতে চলেছে সেখানে তিন মাস নয় বরং প্রতি মাসে গ্রাহকদের পাঠানো হবে ইলেকট্রিক বিল।
অরূপ বিশ্বাস আরো জানিয়েছেন, নতুননিয়ম কার্যকর করার আগে ইতিমধ্যেই বিলের বিষয়ে জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা এবং তাদের মতামত জেনে নিয়ে তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে এই নতুন নিয়ম ঠিক কতটা ফলপ্রসূ হবে তা বোঝার জন্য কলকাতার কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রথমে এই মাসিক বিলের ট্রায়াল শুরু করা হবে। মূলত কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ১১১, ১১২ এবং ১১৪ নম্বর ওয়ার্ড এই তিনটিতে এই মাসিক বিল পাঠানোর ট্রায়াল করা হবে।
পরবর্তী বিলের হিসাব এই নিয়ম অনুসারে হবে বলে জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। তবে এই প্রসঙ্গে উল্লেখ লেখে কলকাতা বিদ্যুৎ পর্ষদ বা সিএসসি এখনো পর্যন্ত কিন্তু প্রতি মাসে ইলেকট্রিক বিল পাঠায় তাদের গ্রাহকদের বাড়িতে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পর্ষদের অধিভুক্ত এলাকা গুলিতে এতদিন তিন মাস অন্তর বিল আসতো। এবারে হয়তো সেই বিলের নিয়মে পরিবর্তন আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের গ্রাহকদের মধ্যে সিংহভাগ অভিযোগ জানিয়েছেন, তিন মাস অন্তর বিল দেওয়ার ফলে তাদের উপরে চাপ বৃদ্ধি পায় এবং তিন মাস অন্তর কারেন্ট বিল বেশি আসে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
অনেকে আবার এও দাবি করেছেন তিন মাস পর মোট ইউনিটের বিল চৌকাতে প্রতি ইউনিটের দাম পড়ছে বেশি। এমত অবস্থায় প্রতি মাসে বিল আসার আশ্বাস দিলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এই বিষয়টিকে অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মনে করছেন গ্রাহকরা। যদি এই নতুন নিয়ম কার্যকর হয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল বাবদ অনেকটা কম খরচ হবে বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী। ব্যবহৃত ইউনিটের পরিমাণ বেশি হলে ইউনিট প্রতি চার্জ বৃদ্ধি পায় এবং দ্বিগুণ হারে বিল বৃদ্ধি পায়। তাই সেটা তিন ভাগ কমে গেলে ইউনিট প্রতি চার্জ ২৫ শতাংশ কমে যাবে বলে মনে করছেন অনেকে।