সেপ্টেম্বর মাস শেষ হলেই পরের মাসের শুরু থেকেই আনন্দে ভাসবে প্রত্যেক বাঙালি। কারণ তো একটাই। বাঙালি সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব শুরু অক্টোবর মাসের একদম শুরুর দিকেই। শরতের আকাশে সূচনা হয়েছে দেবীপক্ষের। পূজার মুখে নীল ক্যানভাস এর মত আকাশ ও কাশফুলের ছোঁয়া মনোরম করে তুলেছে গোটা পরিবেশ। মোটামুটি এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজো ভ্রমণ। আগামী কয়েক দিন আপাতত ঝলমলে আকাশ থাকবে বলেই সুখবর জানিয়েছে হাওয়া অফিস। হঠাৎ মেঘ জমে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও আপাতত ভারী বৃষ্টি হয়ে পুজো বানচাল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই অভয়বার্তা দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
আজ অর্থাৎ সোমবার সকালে আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার একটি পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তাতে জানা গিয়েছে প্রতিপদ থেকে পঞ্চমী পূজোর বোধনের আগেই এই পাঁচ দিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে বৃষ্টি হতে পারে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমের মত জেলাতে। তবে সেখানেও বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু ভালই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের ছয় জেলাতে।
দীর্ঘদিন বৃষ্টির পর পুজোর আগের কিছুদিন প্রায় এক মাস ধরে নিম্নচাপের কারণে টানা বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। সেই কারণেই প্রত্যেকেই চিন্তায় ছিল পুজোতেও কি ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ? কিন্তু তার সম্ভাবনা আর নেই বললেই চলে। দেবীপক্ষের শুভ সূচনায় সুখবর শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। পুজোর চার দিনের খবর না জানালেও পুজোর আগের পাঁচ দিনের জন্য স্বস্তির বার্তা দিয়েছেন তারা। অবশ্য এখন থেকেই কলকাতা শহরতলীতে মানুষজন বেরিয়ে পড়েছে প্যান্ডেল ভ্রমণের জন্য। ইতিমধ্যে উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে অনেক পুজোও। এমন পরিস্থিতিতে আবহাওয়া দপ্তরের ঘোষণা অবশ্যই মুখে হাসি ফোটাবে আপামর বঙ্গবাসীর।