শ্রেয়া চ্যাটার্জি – ৪০ ফুট লম্বা একটি আহত তিমি মাছ ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া জেলার ‘গাহিরমাথা মেরিন স্যাংচুয়ারির’ কাছে ভেসে এলো। বনদপ্তর এর কর্মচারীদের মত অনুযায়ী, ১০ টনের এই ম্যামথ তিমিকে সাধারণত দেখা যায় ‘আগারনাসি’ আইল্যান্ডের উপকূলবর্তী এলাকায়। বনদপ্তর এর কর্মীদের পক্ষে এই বিশাল আকৃতির তিমি মাছের শরীরকে সরানো একটা ভয়ঙ্কর কাজ এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাই তারা ঠিক করেছে একটি ক্রেন নিয়ে এসে এই জলজ প্রাণীর দেহ সরাবেন। তিমি মাছটির শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, সামুদ্রিক প্রাণীরা কি ভয়ঙ্কর ভাবে জীবন যাপন করছে।
এক তথ্যানুযায়ী জানা গেছে, গত বছরে ওড়িশার ৪৮৪ কি.মি উপকুলবর্তী জায়গা জুড়ে প্রায় ১০টি বিশালাকার তিমি মাছের দেহ ভেসে এসেছে উপকূলবর্তী এলাকায়। অনেক কারণেই তিমি মাছের মৃত্যু হতে পারে। দূর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জাহাজের আঘাতে তিমির মৃত্যু হয়। আবার কখনও কখনও খাবারের সাথে অতিরিক্ত প্লাস্টিক দ্রব্য খেয়ে নেওয়ার ফলে হজম না হয়ে তিমি মাছের মৃত্যু হয়। পেট কাটতেই বেরিয়ে পড়ে হজম না হওয়া একাধিক প্লাস্টিকের দ্রব্য।
প্রাণীকুল বারবার বিপর্যস্ত হচ্ছে। মানুষের অত্যাচারের কবলে পড়ছে। তাছাড়া তিমি মাছ বার বার মানুষের এর শিকারের পাত্র হয়। চোরা শিকারিদের পাল্লায় পড়ে এদের সংখ্যা ক্রমশ কমতে বসেছে। তাছাড়া সমুদ্রে ক্রমাগত প্লাস্টিকের উপাদান বৃদ্ধি পাওয়ায় এদের স্বাভাবিক বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পৃথিবীতে এই প্রাণীগুলো থাকার সমান অধিকার রয়েছে মানুষের মত। মানুষ কেউ তা বুঝতে হবে। একা পৃথিবীতে শুধু মানুষ রাজ করবে তা তো হয় না।