খুব শীঘ্রই আসছে ‘DA-শ্রী’, ডিএ নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা!
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য বারবার ডিএ (Dearness Allowance) বৃদ্ধি হচ্ছে, কিন্তু রাজ্যের সরকারি কর্মীরা এখনও সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। বহুদিন ধরেই কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। কিন্তু এখনও সেই দাবি পূরণ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে, ডিএ আন্দোলনের নেতা নির্ঝর কুণ্ডু রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের প্রতি তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন।
তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “অনুগত কর্মচারীদের জন্য খুব শীঘ্রই চালু হবে ‘DA-শ্রী’।” এদিকে, সুপ্রিম কোর্টে ডিএ-র বকেয়া মামলার (DA Arrear Case) শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় কর্মীদের মধ্যে হতাশা আরও বেড়েছে।
ডিএ আন্দোলনের বর্তমান পরিস্থিতি
সম্প্রতি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “বিগত দু’বছর ধরে শীর্ষ আদালতে এই মামলা চলছে। কিন্তু এখনও এর নিষ্পত্তি না হওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক।” যৌথ মঞ্চের মতে, দেশের অধিকাংশ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা সর্বভারতীয় মূল্যসূচক অনুযায়ী মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও সেই দাবিতে একেবারেই ব্যর্থ।
সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া মামলার অবস্থান
বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে যে ডিএ মামলা চলছে, তা পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় থাকা বকেয়া মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত। বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা মাত্র ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা পাচ্ছেন ৫৩ শতাংশ।
আন্দোলন অব্যাহত
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যতদিন না তাদের ডিএ দাবিপূরণ হচ্ছে, ততদিন তাদের আন্দোলন চলবে। ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরও বড় আন্দোলনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৭ জানুয়ারি রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা রাস্তায় নামবেন। এই দিন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত একটি বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শহিদ মিনারের পাদদেশে মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ নেতৃত্ব দেবেন।
রাজ্যের কর্মীদের হতাশা ও ক্ষোভ
রাজ্য সরকারি কর্মীরা বারবার দাবি তুললেও ডিএ বকেয়া ইস্যুতে কোনও সমাধান আসেনি। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্যের পার্থক্য দিনে দিনে আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কর্মচারীরা মনে করছেন, রাজ্যের গাফিলতির কারণে তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতে কর্মচারীদের আন্দোলন আরও জোরদার হচ্ছে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ ও সুপ্রিম কোর্টের রায় এখন কর্মীদের আশার কেন্দ্রে। আন্দোলনের এই উত্তপ্ত পরিবেশে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই দেখার বিষয়।