নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে দেশের অধিকাংশ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এমনকি যাদের কাজ আছে তাদেরও অর্থের যোগান কমেছে। এমন অবস্থায় লোন পরিশোধ করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আর এ কথা মাথায় রেখেই গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ‘লোন মোরাটিয়ামে’র সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৷ যে গ্রাহকরা লকডাউন পর্বে কর্মহীন হয়ে পড়েছে বা যাদের উপার্জন কমেছে, ঋণ পরিশোধের জন্য তাদের ২ বছরের সময়সীমা দিচ্ছে অধিকাংশ ব্যাঙ্ক৷
তবে এবার করোনা পরিস্থিতির জেরে ভারতের অর্থনীতির মন্দা হওয়ার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এবার থেকে সতর্ক থাকবে সব ব্যাঙ্ক৷ তবে তার আগেও দীপাবলীর শুভক্ষণে ঋণগ্রহীতাদের জন্য ফের সুবিধা নিয়ে এল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণে মার্চ থেকে অগস্টের কিস্তিতে সুদের উপর সুদের টাকা ৫ নভেম্বরের মধ্যে ফেরাতে বাধ্য ঋণদাতারা, এমনই জানিয়েছে কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আর তাতেই এবার বলা হয়েছে, ২৯ ফেব্রুয়ারি শোধ না-হওয়া ধারের ভিত্তিতেই ১ মার্চ থেকে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত, এই ১৮৪ দিনের সুদ হিসেব হবে। পরে সুদের উপর সুদ (কম্পাউন্ড ইন্টারেস্ট) থেকে সাধারণ সুদ (সিম্পল ইন্টারেস্ট) বাদ দিয়ে যা দাঁড়াবে, সেই টাকা ঋণগ্রহীতার ঋণ অ্যাকাউন্টে জমা দেবে ঋণদাতা ব্যাঙ্ক। কেন্দ্রের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ছ’মাস স্থগিত থাকা কিস্তিতে (মোরাটোরিয়াম) এই সুবিধা তো মিলবেই। যারা ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে মোরাটোরিয়ামের সুবিধা নেননি, একই সুবিধা পাবেন তারাও। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।