চন্ডীগড়: একে তো করোনা পরিস্থিতি, তার ওপর কেন্দ্রের প্রকাশ করা নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতা করা কৃষক আন্দোলন কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে দিন দিন। কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে কার্যত দেশ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই যে যার নিজের জীবনের ছন্দ মিলিয়ে চলছে। বিবাহবন্ধনেও আবদ্ধ হচ্ছেন অনেকে। বিয়ের আসর বসেছিল পাঞ্জাবের চন্ডীগড় থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু এই বিয়ে আর পাঁচটা বিয়ের মতো নয়। কার্যত বিয়ের মধ্যেও প্রতিবাদের ভাষা স্বর্ণাক্ষরে লিখে দিয়ে গেলেন এই নবদম্পতি। বিয়ে মানে চিরাচরিত উপহার পেয়ে আনন্দ, উল্লাসে মেতে ওঠা নয়, বরং এই বিয়েতে আমন্ত্রিত সকলের অনুদান আন্দোলনরত কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিয়ে এক অভিনব বার্তা দিলেন এই নবদম্পতি। কার্যত সকলের কাছে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছেন এখন তারা
ঘটনাটি ঘটেছে চণ্ডীগড় থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে পাঞ্জাবের মুক্তাসরে। বিবাহ বন্ধনে আবধ্য হতে চলা দুই পরিবারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা কোনও উপহার নেবেন না। বিয়ের আসরে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করতে আসা অভ্যাগতদেরকে পরিবর্তে তারা যদি অনুদান দিতে চান তা যেন একটি বক্সে দান করে দেন। এক ঘোষককে ঘোষণা করতে দেখা যায় বিষয়টি নিয়ে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে। তিনি বলেন, কেউ যদি স্বেচ্ছায় কোন অনুদান দেন তবে সেই টাকা চলে যাবে কৃষকদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও অন্যান্য জরুরি সামগ্রী কেনার কাজে। সেইমতো আমন্ত্রিত অনেকেই অনুদান দেয় সেই বাক্সে এবং যা কার্যত পাহাড়প্রমাণ অনুদানের চেহারা নিয়েছে। আর এই অনুদানের টাকাই পৌঁছে দেয়া হয়েছে রাজধানীর বুকে প্রতিবাদ করা হাজার হাজার কৃষকদের কাছে।
নবদম্পতির এই অভিনব ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছে ওয়াকিবহল মহল। এমনকি আন্দোলনরত কৃষকরাও এই দু’জনকে এবং তাদের পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। এভাবেই যারা আমাদের অন্নদাতা তাদের পাশে থেকে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে পাঞ্জাবের এই নবদম্পতি।