বন্ধ হোক ভোট, নির্বাচন কমিশনের সামনে পিপিই কিট পরে রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ
গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় ২০৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। গতকাল ৩১ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে তৃতীয় দফায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের শেষ ৫ দফা ভোটের প্রচারের জন্য মাঠে নেমে পড়েছে। রাজ্যের প্রান্তে প্রান্তে চলছে জনসভা এবং রোড শো। তৃণমূল বা বিজেপি যেই দলেরই সভা হোক না কেন মানুষের ঢল চোখে পড়ার মতো থাকছে। তবে ভোট যুদ্ধের ময়দানে অনেকেই ভুলে গেছে যে গোটা বিশ্ব এখনো করোনা প্যানডেমিকে জর্জরিত। সম্প্রতি ভারতজুড়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমনের পরিমাণ। গত বছরের মতোই আবারো মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। এমনকি এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে দৈনন্দিন সংক্রমণের হার দেশজুড়ে ১ লাখ ছাড়িয়েছে যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। রাজ্যেও দৈনিক সংক্রমনের হার ২০০০ ছাড়িয়েছে।
এবার এক অরাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের ঢিল ছোড়া দূরত্বে রাস্তায় শুয়ে বিধানসভা নির্বাচন বন্ধের আরজি জানাল। জানা গিয়েছে, ৮ থেকে ১০ জন লোক পিপিই কিট পরে নির্বাচন কমিশনের সামনে রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন আগামী ৪ সপ্তাহ খুবই উদ্বেগজনক। কিন্তু সেই পরামর্শ তোয়াক্কা না করে রাজ্যজুড়ে উৎসবমুখর হয়ে ভোটদান পর্ব চলছে। গতবছর করোনার জন্য দুর্গাপুজো, কালীপুজোতে রাশ টানা হলে এ বছরে ভোট কেন এত জাঁকজমকভাবে হচ্ছে? রাজনৈতিক দলগুলি কি ভোটের জন্য এতই উন্মাদনায় ব্যস্ত যে পরবর্তী কি হতে চলেছে তারা ভাববে না? এত সংক্রমনের মাঝে কেন এত জনসভা, মিটিং-মিছিল, রোড শো?
ওই অরাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে যে অবিলম্বে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হোক। নির্বাচনী সভা মিটিং-মিছিল জনসমাবেশ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। বিকল্প উপায়ে ভোটগ্রহণ হোক। তারা এই দাবিতেই নির্বাচন কমিশনের সামনে পিপিই কিট পড়ে প্ল্যাকার্ড হাতে শুয়ে পড়েছিল। এছাড়াও প্রতিবাদীরা নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি দিয়েছে। তারা তাতে স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেছে আগামী একদিনে পশ্চিমবঙ্গে করণা আক্রান্তের সংখ্যা ২০৫৮ জন যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান।