ভোপাল: আগামী ১৬ জানুয়ারি (January) থেকে দেশ জুড়ে করোনা টিকাকরণ (Corona Vaccinataiom) শুরু হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Govt) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই অস্বস্তিতে ভারত বায়োটেক। কারণ, এই সংস্থার তৈরি করা কো-ভ্যাকসিন (Co-Vaxin) নেওয়ার ১০ দিনের মধ্যেই অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে ভোপালের এক স্বেচ্ছাসেবকের। কো-ভ্যাকসিনের তৃতীয় তথা শেষ ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল)-এ অংশ নিয়েছিলেন ৪২ বছরের ওই যুবক। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মনে করা হচ্ছে, ওই যুবকের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর আরও সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যেতে পারে। তবে ভারত বায়োটেকের দাবি, এই মৃত্যুর সঙ্গে টিকা নেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
জানা গিয়েছে, দেশের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে ভারত বায়োটেকের তৈরি করা কো-ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। এমতাবস্থায় এরকম এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ভ্যাকসিনের প্রতি মানুষের বিশ্বাসকে আলগা করে দিল, এমনটা বলাই যায়। তবে এ প্রসঙ্গে ভারত বাযটেকের পক্ষ থেকে দাবি করে বলা হয়েছে, টিকাকরণের ন’দিনের মাথায় ওই স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হয়েছে। আর প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ হিসেবে টিকাকরণকে দায়ী করাও হয়নি। তাই অকারণে ভ্যাকসিনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর কোনও মানেই হয় না।
এমনকি এই ঘটনা নিয়ে অকারণে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি টুইট করে বলেছেন, ‘ভিসেরা টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। সবাইকে আবেদন, বিষয়টা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। টিকা নিয়ে অযথা কোনও ভুল তথ্য বা আতঙ্ক যেন না ছড়ায়, যাতে টিকাকরণের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে আমি নিশ্চিত, টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ, সেটা হলে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বোঝা যায়। এত দিন পরে নয়।’