শ্রেয়া চ্যাটার্জি – করোনা নিয়ে সচেতনতা দেখা যাচ্ছে গ্রামাঞ্চলেও। পটচিত্রের মাধ্যমে পটের উপরে ছবি এঁকে এক গ্রাম্য বধূ সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছেন। শহরাঞ্চলে এখনো পর্যন্ত বাজার ভিড় করে রয়েছেন তথাকথিত শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু এরা তথাকথিত অত শিক্ষিত না হলেও এদের মধ্যে সচেতনতার শিক্ষা তৈরি হয়েছে। নিজের জীবিকা কে অবলম্বন করেই এরা করোনা সচেতনতায় লেগে পড়েছেন। গ্রামের মানুষের কাছে অত শক্ত শক্ত ভাষায় কথা বললে তারা হয়তো বুঝতেও পারবেন না। তাই এই পদ্ধতি বেছে নেওয়া। পটের উপর সুন্দর করে ছবি আঁকছেন, আর করোনা নিয়ে সুন্দর করে গান বাঁধছেন। গান গেয়ে গেয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন।
বিশ্বে আতঙ্ক তৈরি করেছে করোনা ভাইরাস। মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে আমেরিকা, ইতালি, ফ্রান্সের মতো উন্নত দেশগুলিতে। ভারতবর্ষ এর থেকে রেহাই পায়নি। দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃতের সংখ্যা। যা সত্যিই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। করোনা থেকে বাঁচতে একমাত্র ঔষধ হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। তার জন্য গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে লকডাউন চলছে এবং লকডাউন প্রত্যেককে মেনে নিতেই হবে। না হলে আমেরিকা, ফ্রান্সের মতন আমাদের দেশেও চলবে মৃত্যু মিছিল। তাই সচেতনতা প্রত্যেকের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে।
পটশিল্প এক অসাধারণ শিল্প। গ্রামের মানুষরা রামায়ণ মহাভারত নানানরকম লোকো কাহিনী শুনতে নেই পটশিল্পীদের মাধ্যমে। গান শুনতেন এবং তার সঙ্গে আঁকাও দেখতেন। অনেকটা ওই সিনেমা দেখার মত। তখন ঘরে ঘরে এত টেলিভিশন বা সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ছবি দেখার প্রচলন ছিল না। এগুলোই মানুষের বিনোদনের মাধ্যম ছিল। সেদিনের সেই বিনোদনের মাধ্যম আজ যে সচেতনতার মাধ্যমে পরিণত হবে, তা সত্যিই জানা ছিল না।