প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই মোদী সরকার সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সঙ্গে আধার সংযোগ বাধ্যতামূলক করে। মোবাইল নং থেকে প্যান কার্ড সবেতেই আধার সংযোগ করা বাধ্যতামূলক হয়। ব্যাংক একাউন্টের সঙ্গেও জুড়তে হয় আধারকে। সমস্ত নথিপত্রের সঙ্গে আধার যোগ করতে গিয়ে চরম হয়রানির মুখে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। যা শীর্ষ আদালতে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলায় শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, কোন নথিপত্রেই আধার সংযোগ বাধ্যতামূলক করা যাবে না। তখনও কেন্দ্র সরকারের চরম বিরোধিতা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে একহাত নিলেন কেন্দ্র সরকারকে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, ‘আধার নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। একমাত্র জাতীয় নাগরিক পঞ্জিতে নাম থাকলে তবেই দেশের বৈধ নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবে।’
একইসঙ্গে তিনি আরও জানান, নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে বৈধ নয় প্যান বা ভোটার কার্ডও। যা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আধার যদি বৈধ না হবে তাহলে মানুষকে হয়রানির মধ্যে সবকিছুতে আধার যুক্ত করার দরকার কি ছিল?’