আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল বৃহস্পতিবার একটি নতুন ঘোষণা করেছেন যাতে তিনি বলেছেন দিল্লি সরকার এবারে ১৮ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের জন্য আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব নিয়ে আসতে চলেছে। প্রাক্তন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেছেন, যদি আম আদমি পার্টি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় ফিরে আসে তবে এই টাকার পরিমাণ ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২,১০০ টাকা করা হবে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, শীঘ্রই নির্বাচন ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তার আগে কিন্তু অর্থ ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে না। তবে মহিলা সম্মান যোজনা নামে এই প্রকল্পের নিবন্ধন আগামীকাল থেকে শুরু হয়ে যাবে।
এর আগে প্রস্তাব ছিল, মহিলাদের প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। তবে সম্প্রতি এই প্রস্তাব পরিবর্তন করে প্রতিমাসে ২,১০০ টাকা করে করা হয়েছে। কেজরিওয়াল মহিলা সম্মান যোজনা অনুষ্ঠানে বলেছেন, আমি আগে প্রতি মহিলাকে ১০০০ টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু মহিলা আমার কাছে এসে বলেছিলেন, মুদ্রাস্ফীতির কারণে ১০০০ টাকা যথেষ্ট হবে না দিল্লিতে থাকার জন্য। সেই কারণে এবারে আমরা প্রতি মাসে ২১০০ টাকা করে দিতে চলেছি মহিলাদের। ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব পাস হয়ে গিয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী এই সময় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশে ছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই বছরের মার্চ মাসে তৎকালীন কেজরিওয়াল সরকার দিল্লির আঠারো বছরের বেশি বয়সী সমস্ত মহিলাদের প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পটি চালিয়ে থাকেন, সেরকম ভাবেই দিল্লিতে মহিলা সম্মান যোজনার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। একইভাবে, মধ্যপ্রদেশেও লাডলি বেহেনা যোজনা চালানো হয় বিজেপি সরকারের তরফ থেকে।
আজ নিজের ভাষণে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, দিল্লি সরকারের এই প্রকল্পটি দিল্লির মহিলাদের জন্য একটি আশীর্বাদ হিসেবে প্রমাণিত হবে, কারণ এই তহবিল থেকে উপকৃত হবেন দিল্লির সমস্ত মা-বোনেরা। তিনি আরো বলেছেন, “নারীরা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলে, এবং তাদের কাজে তাদের সমর্থন করাকে আমরা বিশেষত্ব বলে মনে করি। দিল্লির ২ কোটি জনসংখ্যার সাথে একসাথে আমরা সব থেকে বড় বাধা অতিক্রম করতে পেরেছি। শহরের মানুষের জন্য ভালো কোন কাজ করতে কোন বাধা আমাদের কেউ দিতে পারবেন না।” এছাড়াও বিজেপির নিন্দা জানিয়ে কেজরিওয়াল বলেছেন, প্রথম মার্চ মাসে এই প্রকল্পটি ঘোষণা করা হয়েছিল এবং মনে করা হয়েছিল মে মাসে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু তার মাঝেই, বিজেপি ষড়যন্ত্র করে একটি জালিয়াতির মামলার ভিত্তিতে আমাকে কারাগারে পাঠিয়েছিল। জেল থেকে ফিরে আসার পর আমি অতিশীর সাথে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছি। আর কিছুদিনের মধ্যেই এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।