ঘোষণা করেছিলেন অনেক আগেই। একুশের ভোটের মুখে এই বার নতুন দল ঘোষণা করলেন আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকি (Abbasuddin Siddiqui)। তার দলের নাম ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। ফ্রন্টের চেয়ারম্যান শ্রীমান সোরন আর তার সভাপতি হলেন নওশাদ সিদ্দিকি। কিছু দিনের মধ্যে দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিও ঘোষণা করা হবে। আব্বাসউদ্দিন জানিয়েছেন,”ধর্মে কোনও বাঁধা নেই, তাই রাজনীতিতে এসেছি। বিধানসভা ভোটে আমরা লড়ব না। দলকে নেতৃত্ব দেব।” ২৬ এ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পথ চলা শুরু হবে ‘ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টে’ -এর। কি কর্মসূচি? আগামীদিনে ব্রিগেড থেকে ঘোষণা করা হবে।
বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ভোটের অঙ্কটাও কি ততই জটিল হচ্ছে? ২১ এর নির্বাচন ইতিমধ্যেই বাংলায় প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা কথা ঘোষণা করেছেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi)। দিন কিছু আগে হুগলির ফুরফুরা শরীফে হাজির হন তিনি। সেখানে পীরজাদা আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকের সাথে একান্ত বৈঠাকও করেন মিম প্রধান। সে খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তার কারণ, ততদিন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজের দল ঘোষণা করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন আব্বাসউদ্দিন। মিমের সাথে তাদের ‘সম্পর্কের’ জল কোনদিকে গড়াবে, তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল।
এই পরিস্থিতিতে এইবার ভোটের ময়দানে আত্মপ্রকাশ করল মিম। এইদিন সাংবাদিক সম্মেলনে আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকী বলেন,”আমাদের পরিবারে অনেক পীর সাহেব রয়েছেন। তাদের আশীর্বাদ রয়েছে। পার্টি তৈরি করে রেখেছি। আমাদের লক্ষ্য, অসহায় মানুষের কণ্ঠ হওয়া। মানুষ আমাদের শুনছেন। এই ফ্রন্টে কোন কোন দল যোগ দিচ্ছে? আব্বাসউদ্দিনের জবাব, “যে দলই আসবে, তাকে নিজের মনে করে পথ চলব।” ফ্রন্টে মিমের ভূমিকা কী হবে? মিম তো বিজেপি-কে সুবিধা করে দিচ্ছে? এবার পাল্টা প্রশ্ন এল, “কে বলছে, মিম বিজেপির দল?”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই বার বিধানসভা নির্বাচনের বাংলায় লড়বে শিবসেনাও। দিন কিছু আগে টুইট করে এই কথা জানিয়েছেন দলের সাংসদ সঞ্জয় রাউত। টুইট করে তিনি লেখেন,” আপনাদের জন্য বহু প্রতীক্ষিত আপডেট। পার্টি সচিব উদ্ভব ঠাকরের সাথে আলোচনার পর শিবসেনা এবার বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা শীঘ্রই কলকাতায় আসতে চলেছি। জয় হিন্দ, জয় বাংলা।”