“বিজেপি বড় নেতা আসুক চ্যানেলে, আমি একা থাকবো, ১০ গোল দেবো”, খোলা চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেছেন, "গেরুয়া শিবির বলেছে যে ৭ বছরে বাংলাকে তিন লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে নাকি কেন্দ্র। কিন্তু আমি বলছি এই ৭ বছরে বাংলা থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা কর কেটেছে ওরা।"
একুশে নির্বাচন দোড়গোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে জনসভা করছে। এরইমধ্যে চরমে উঠেছে তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব। বিজেপির প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে বা প্রত্যেক নেতা কোন না কোনভাবে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে আক্রমণ করছেন। বিজেপি নেতারা বারংবার তাকে ভাইপো বলে কটাক্ষ করেছে এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে। তবে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েনি। তিনি সরাসরি বলেছেন, “আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসিতে আমি নিজেই ঝুলে যাবো। সেক্ষেত্রে ইডি বা সিবিআই তদন্ত করতে হবে না।”
একইভাবে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পৈলান থেকে বিজেপি শিবিরকে ফের কটাক্ষ করলেন। তিনি নির্বাচন প্রাক্কালে শাসকদলের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেছেন এবং শাসক দলের ওপর দুর্নীতির অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “গত 10 বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন করেছে তা দেশের অন্য কোন রাজ্যে হয়নি। একই সঙ্গে ডায়মন্ড হারবার এর বিধায়ক গেরুয়া শিবির কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছেন, লড়াই হবে তথ্য ও পরিসংখ্যান ভিত্তিতে। কোন চ্যানেলে কে বসবে কে আসবে ওরা ঠিক করুক। একদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা থাকবে, অন্যদিকে আমি একা থাকবো। ১০ গোল দেব।”
এছাড়া ঐদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছে, “গেরুয়া শিবির বলেছে যে ৭ বছরে বাংলাকে তিন লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে নাকি কেন্দ্র। কিন্তু আমি বলছি এই ৭ বছরে বাংলা থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা কর কেটেছে ওরা। হিসাব করলে দেখা যাবে ৫ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে কেন্দ্র। সেই টাকা দিয়ে ওরা এমপিও এমএলএ কিনেছে। ওরা ওই টাকা কোন খাতে খরচ করে তার হিসাব দিতে পারবে? তৃণমূল থেকে নেতা কিনে সোনার বাংলা গড়বে বলছে। বাংলার মানুষ কি বোকা। মানুষ সব বোঝে।” এছাড়া দলবদল ট্রেন্ড প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বলেছেন, “তৃণমূল নেতাদের দিল্লিতে চার্টার্ড বিমান এ নিয়ে যাচ্ছে। আর পুরনো বিজেপি কর্মীগুলো একটা টোটো পাচ্ছে না। এদিকে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ১৫ লাখ টাকা করে দেবে বলেছিল। সে তো দূরের কথা। কাউকে ১৫ টাকা দেয়নি ওরা।”