আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস পূর্ণ উদ্যমে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েছে। শুভেন্দু অধিকারী কয়েকদিন আগে মন্ত্রিত্বপদ থেকে পদত্যাগ করলে বঙ্গ রাজনীতিতে প্রবেশ জল্পনা-কল্পনার শুরু হয়। তারপর হাল ধরতে আজকেই ডায়মন্ড হারবারে জনসভা করছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বজবজের মুচিশা হাইস্কুলের মাঠে ছিল অভিষেকের আজকের জনসভা। তিনি আজকের সভায় নাম না নিয়ে বারংবার শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছেন। কয়েকদিন আগে নন্দীগ্রামের এক বিজয়া সম্মিলনীতে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “আমি প্যারাসুটে নামেনি। লিফটে উঠেনি। সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে উঠেছি।” এবার নাম না নিয়ে তার পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেসে কেউ রাতারাতি নেতা হয়নি। কর্মী হোক বা নেতা তাদের কেউ প্যারাসুটে নামেননি বা লিফটে ওঠেননি।” তিনি আরো কটাক্ষ করে বলেন, “লিফটে উঠলে কেউ একটা বিধানসভার সদস্য হয়ে থাকতেন না। কেউ কেউ নিজের মত অনেক কিছু করে বলে দেয়। আসলে গণতান্ত্রিক দেশ তো বলতেই পারেন। কিন্তু আমি প্যারাসুটে নামলে ৩৫ টা পদের অধিকারী হতাম না। প্যারাসুটে করে নেমে শুধুমাত্র দক্ষিণ কলকাতায় লড়তাম। কিন্তু আমি তো সেই ২০১৪ সাল থেকে ডায়মন্ড হারবার এর প্রার্থী।”
একইসঙ্গে প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নাম না নিয়ে তিনি তাকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নাম তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই পার্টি দলের সবার কাছে মায়ের মত। তৃণমূল সবার মা। আর মায়ের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে ছেড়ে কথা বলবো না।” তিনি নাম না নিয়ে বিদ্রুপ করে বলেছেন, “একটা বাংলা ছবির সংলাপ আছে, বউ হারালে বউ পাওয়া যায়, কিন্তু মা হারালে মা পাওয়া যায় না। তেমনি বিশ্বাসঘাতকতা করলে কড়ায় গণ্ডায় জবাব মিলবে পড়ে।”
প্রসঙ্গত, মন্ত্রিত্ব পদ ত্যাগ করার পর আজ আবার অরাজনৈতিক সভা করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার আজকের সভা নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে চলছে প্রবল চাপানউতোর। আজ সে মহিষাদলের ছোলা বাড়িতে সভা করবেন। তার অরাজনৈতিক ব্যানারে কোনো রকম রাজনৈতিক মন্তব্য করেননি তিনি।