আন্তর্জাতিকনিউজ

এয়ারকন্ডিশন থেকে ছড়ালো করোনা ভাইরাস, আক্রান্ত তিনটি পরিবার

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – চীনের রেস্তোরাঁয় এবার এয়ারকন্ডিশন থেকে ছড়ালো করোনা ভাইরাস। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এর সদস্যরা জানিয়েছেন, তিনটি পরিবার তারা একই রেস্তোরাঁয় তিনটি আলাদা আলাদা টেবিলে বসে থাকা সত্ত্বেও তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। জানুয়ারি মাসের ২৪ তারিখে তিন পরিবারের ৯ জন সদস্য একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গুয়াংঝো গিয়েছিলেন। তবে তথ্যসূত্র থেকে উঠে আসছে যে এই ভাইরাসটি বহমান।

Advertisement
Advertisement

জানুয়ারি মাসের ২৩ তারিখে, একটি পরিবার উহান থেকে গুয়াংঝো তে এসেছিলেন, ধরা যাক, এই পরিবারটি হল ‘A’ পরিবার, জানুয়ারি মাসের ২৪ তারিখে তারা রেস্তোরাঁতে যায়, আরো দুটি পরিবারের ধরা যাক ‘B’ ও ‘C’ এর সাথে। ‘B’ ও ‘C’ পরিবাররা অন্য টেবিলে বসেন। পরের দিন ‘A’ পরিবারের একজন সদস্য জ্বর এবং কাশিতে ভুগতে থাকেন এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫ ই ফেব্রুয়ারি মোট ৯ জন কে চারজন সদস্য ‘A’ পরিবারের, তিনজন সদস্য ‘B’ পরিবারের এবং দুজন সদস্য ‘C’ পরিবারের, সকলেই করোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত হন। পরীক্ষামূলক গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, এয়ার কন্ডিশন এর মাধ্যমে ভাইরাসটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। যার ফলে রেস্টুরেন্টে থাকা পরিবারগুলি কারো সঙ্গে কারো স্পর্শে না থাকলেও, সকলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যায়।

Advertisement

গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস তার থাবা বসিয়েছে। চীনের উহান প্রদেশে এর উৎস স্থল হলেও গুটি গুটি পায়ে গোটা পৃথিবী কে নিজের আয়ত্তে করে ফেলেছে। উচ্চশিক্ষিত প্রযুক্তির দিক থেকে উন্নত দেশ গুলি তার কাছে মাথা নত করেছে। মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে আমেরিকা, ইতালি, ফ্রান্স। ভারতেও মারণ থাবা বসিয়েছে। ইতালির প্রেম নগরী, পরিণত হয়েছে প্রেত নগরীতে। চারিদিকে শুধু শবদেহ আর শবদেহ। প্রিয়জনরা বিদায় নিয়েছে এক এক করে সব। এর আগেও মহামারির প্রকোপে পড়েছে বিশ্ব। করোনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, এর উপযুক্ত ওষুধ বা ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কার করা যায়নি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই এর একমাত্র ওষুধ। গোটা বিশ্ব এই যুদ্ধে একসঙ্গে সামিল হয়েছে। প্রত্যেকের এখন একটাই লক্ষ্য, কি করে এই করোনা যুদ্ধে জয়লাভ করা যায়।

Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button