পরবর্তী ২ মাস কীভাবে এগোবে দেশ? ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি কেন্দ্রের
লকডাউন পরবর্তী সময়ে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির মোকাবিলা কীভাবে করা সম্ভব, তা নির্ধারণ করতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার পথে হাঁটছে কেন্দ্র। তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে ১৭ ই মে। পরবর্তী ২ মাস কীভাবে এগোবে দেশ, তা ঠিক করতে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য আলোচনা চলছে। নির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য প্রতিটি মন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন মন্ত্রকের পরামর্শ ও অ্যাকশন প্ল্যানের খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করে দেখার পরে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৫ শে মার্চ লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কী কী কাজ করেছে প্রতিটি দপ্তর ও মন্ত্রক তার তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলোকে।
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে লকডাউন জারি করার পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে। পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যায় সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হয়েছে সরকারকে। দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো দাবি করে এসেছে যে, কোন রকম পরিকল্পনা ছাড়া তড়িঘড়ি লকডাউন জারি করে মানুষকে সমস্যায় ফেলেছে কেন্দ্র। তবে বিরোধীদের এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে করেছে শাসক ঘনিষ্ঠ নেতারা।
কেন্দ্রের দাবি, সেই সময় লকডাউন জারি করার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া সরকারের কাছে দ্বিতীয় আর কোন পথ ছিল না। সেই পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, কারো সঙ্গে আলাপ আলোচনারও সময় পাওয়া যায়নি।