কৌশিক পোল্ল্যে: লকডাউনে চরম দুর্দিনে রয়েছেন ভারতের দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষেরা। প্রতিদিনের টাকাটুকুই যাদের অন্নের একমাত্র রসদ তারাই মূলত যুদ্ধ করছেন এক কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে। এছাড়াও সমাজের কিছু প্রান্তিক মানুষ রয়েছেন যাদের তথাকথিত সমাজ স্বীকৃতি দেননি। তারা পতিতা, কোনো এক এক নিষিদ্ধ গলির নিশিকর্মী তারা।
স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সেখানে চলত বাবুদের আনাগোনা, কিন্তু এখন সবটাই শ্লথ হয়ে গিয়েছে লকডাউনের জেরে। সকলেই গৃহবন্দি, কাজেই নিষিদ্ধ পাড়ার গলিতে নেই বাবুদের ভিড়। রোজগারের জন্য এটিই তো তাদের মূল পন্থা, সেই জায়গাতেই পড়েছে কোপ। চরম অর্থকষ্টে ভুগছেন যৌনকর্মীরা।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকিছুদিন আগেই অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জী সওয়াল তোলেন, যাদের কাছে বেঁচে থাকার জন্য খাবারটুকুই নেই, তারা প্রদীপ বা মোমবাতি জ্বালবে কি করে। তাদের জন্য সেক্সটাই তো ভরসা। যৌনকর্মীদের এই বেহাল অবস্থায় ভরসা দিলেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সোনাগাছির যৌনকর্মীদের হাতে তুলে দিলেন খাবার ও অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী।
সোনাগাছি ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় রেডলাইট এলাকা। এখানে কমবেশি দশ হাজার মানুষ বাস করেন। যৌনকর্মীদের তালিকায় রয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষসহ রূপান্তরকামীরাও। এদের কিছুজনের হাতে টাকা থাকলেও অধিকাংশই অর্থকষ্টে নিরুপায়।
এদের সাহায্যে এগিয়ে পরম জানান, সমাজ বদলালেও, বদলায়নি মানসিকতা ফলে অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে যৌনকর্মীদের। তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরে এ বিষয়ে দুর্বার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানো হয় এবং এরপরই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।