কৌশিক পোল্ল্যে: তিনিই এখন সমগ্র দেশের ‘রিয়েল হিরো’। টিভির পর্দা থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, খবরের শীর্ষে সর্বত্র তিনিই বিরাজ করছেন। দেশের স্বার্থে এগিয়ে এসে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কিছু করতে পেরে, তাদের বাড়ি ফেরাতে পেরে, নিজের নামটি অনায়াসেই দেশের মহান অভিনেতাদের তালিকায় যুক্ত করলেন সোনু সুদ। বলিপাড়ায় যোগ্য সম্মান না পেলেও গোটা দেশের মানুষের মনিকোঠায় তিনি খলনায়ক নন বরং সুপারহিরো।
এই মানুষটির নিরলস পরিশ্রমে দেশের বিভিন্ন বড় শহরগুলিতে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজভূমে ফিরতে পেরেছেন, সেই সাফল্যমন্ডিত কর্মসূচীর নিমিত্তে সোনুকে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়ার দাবিও ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতকিছুর পরেও রাজনীতি তার মতো পপুলার আইকনকে হাতছানি দিয়ে ডাকবে না তা কি হয়! ঘটলোও তাই। ইতিমধ্যেই বহু রাজনৈতিক দলের যোগদান করার জন্য অভিনেতার কাছে আমন্ত্রন আসতে শুরু করেছে।
সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে সাধারন মানুষের সমস্যার সমাধান করতে পেরে রাজনীতির বিভিন্ন রং নির্বিশেষে তিনিই হয়ে উঠেছেন সকলের ঘরের ছেলে। ফলে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল থেকে সরকারিভাবে তার ক্রিয়াকলাপে সাহায্যের জন্য প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বি-টাউনের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায় ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দেবার পরিকল্পনা করেছেন সোনু। তবে সেটি কতখানি সত্যি সে বিষয়ে নিজস্ব মতামত জানিয়ে দিলেন অভিনেতা।
তিনি বলেন, “রাজনীতি নিয়ে আমার কোনোরকম উৎসাহ নেই। আমার কাছে রাজনৈতিক দলে যোগ দেবার প্রস্তাব এসেছে ঠিকই কিন্তু তা নিয়ে আমি ১ শতাংশ উৎসাহও দেখাইনি! অভিনেতা হিসেবেই আমি খুব খুশি। এই পেশাতে ভর করেই আমি নিজের জন্য যাবতীয় সবকিছু করতে পেরেছি। আমি মোটেই রাজনীতির ময়দানে নামতে চাইনা।” রাজনীতির সঙ্গে সিনেদুনিয়ার সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ হলেও, রাজনীতিতে একেবারেই উৎসাহ পোষন করেন না সোনু সুদ, তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন।