যাত্রী হয়ে বিমান চালিয়ে ট্রোলড হয়েছেন সিরিয়ালের তিতলি, মুখ খুললেন অভিনেত্রী
স্টার জলসার জনপ্রিয় বাংলা ডেইলি সোপ ‘তিতলি’ এই মুহূর্তে প্রশিক্ষণ ছাড়া প্লেন চালিয়ে খবরের শিরোনামে। জন্মগত বধির অর্থাৎ কানে শুনতে না পাওয়া তিতলি যেভাবে লিপ রিড করে নির্দেশ বুঝে প্লেন চালালেন তা দেখে নেটিজেনদের মনে হয়েছে এবার সিরিয়ালটির অস্কার পাওয়া উচিত। প্রকৃতপক্ষে , সর্বকালের সেরা হলিউডি অ্যাকশন ফিল্মগুলিতেও এই ধরনের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায় না। এই কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা তিতলির প্রোমো ভাইরাল হবার সাথে সাথে নেট নাগরিকরা সিরিয়ালটিকে ট্রোল করা শুরু করেছেন। তাঁরা বলেছেন, চিত্রনাট্যকার মনে হয় নেশার ঘোরে চিত্রনাট্য লিখেছেন।
তবে শুধুমাত্র চিত্রনাট্যকারকে নয়, ‘তিতলি’র নামভূমিকায় অভিনয় করা মধুপ্রিয়াকেও অযথা ট্রোল করা হচ্ছে এই দৃশ্যের জন্য। কিন্তু মধুপ্রিয়া সবাইকে যোগ্য জবাব দিয়ে বলেছেন, একসময় তিনি সবার কাছে ছিলেন মিষ্টি মেয়ে, কিন্তু মুহূর্তেই সব ধ্বংস হয়ে গেল। কিন্তু মধুপ্রিয়ার এই অভিমান ভরা পোস্টের কোনো প্রভাব নেটিজেনদের উপরে পড়েনি। নেটিজেনরা চিত্রনাট্যকার ও অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং কলাকুশলীদের এই ধরনের কাহিনীর জন্য দোষ দিলেও প্রকৃতপক্ষে চিত্রনাট্য ও কাহিনী এখন চ্যানেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী লেখা হয়। চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ফলে এই ধরনের চিত্রনাট্য লিখতে পছন্দ না করলেও এবং এই ধরনের অলীক দৃশ্যে অভিনয় করতে ইচ্ছে না হলেও চিত্রনাট্যকার, অভিনেতা-অভিনেত্রী সহ সিরিয়ালের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কলাকুশলীকে চ্যানেলের নির্দেশ মানতে বাধ্য করা হয়। যদি তাঁরা চ্যানেলের নির্দেশ না মানেন তাহলে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয় সিরিয়াল থেকে। এই ধরনের নিয়মের ফলে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ রুটি-রুজি খোয়ানোর ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পান না।
এই ধরনের সমস্যার নিবারণ করার জন্য কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এখন থেকে চ্যানেল ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম -এ দেখানো কনটেন্ট নিয়ে প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক হস্তক্ষেপ করবেন। তবে ‘তিতলি’ সাইবার দুনিয়ায় ট্রোল হবার সঙ্গে সঙ্গে যাঁরা ‘তিতলি’ দেখতেন না, তাঁরাও এই দৃশ্যটি দেখার জন্য বসে পড়েছেন টিভির সামনে। এমনকি মধুপ্রিয়াকে যাঁরা চিনতেন না, তাঁরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় মধুপ্রিয়াকে খুঁজে বের করে ফলো করা শুরু করেছেন। সবকিছু দেখে-শুনে এটাই মনে হচ্ছে, জেনে-শুনেই চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ট্রোল হয়ে ‘তিতলি’র পাবলিসিটি বাড়ানোর জন্য এই ধরনের চিত্রনাট্য অনুমোদন করেছেন। তাই মধুর ভাণ্ডারকর পরিচালিত বিখ্যাত বলিউড ফিল্ম ‘পেজ থ্রি’-এর একটি ডায়লগ অনুসারে বলা যেতেই পারে, “সামটাইমস এনি পাবলিসিটি ইজ গুড পাবলিসিটি”।