নিউজ

পুজোয় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রশাসনিক বৈঠক নবান্নে, টেলিফোনে সকলকে কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

Advertisement

কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি ইতিমধ্যেই পড়ে গিয়েছে। আজ, সোমবার শুভ তৃতীয়া। আর মাত্র দু’দিন বাকি মা দুর্গার বোধন হতে। আর তাই পুজোর দিনগুলো যাতে রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো থাকে এবং সঠিকভাবে যে যার দায়িত্ব পালন করতে পারে সেই নিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রশাসনিক বৈঠক হয়ে গেল নবান্নে। যদিও এই বৈঠকে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তবুও টেলিফোনের মাধ্যমে তিনিই বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

নবান্নে সরাসরি এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা। এছাড়াও বৈঠকে ছিলেন রাজ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতা পুলিশ কমিশনার এবং কলকাতা ও হাওড়ার কর্পোরেশনের কমিশনারও। সার্বিকভাবে সকলকেই একটাই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেটি হল, রাজ্যে পুজোর মধ্যে যেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা একদম ঠিকঠাক থাকে। এমনকি সাধারণ নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যাম্বুলেন্স এবং হাসপাতালে বেডের ব্যবস্থাও যেন করা থাকে, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্রাফিক ব্যবস্থা যেন পূজার মধ্যেও স্বাভাবিক থাকে, কোনওরকম যেন লাগামছাড়া কোনও কিছু লক্ষ্য করা না যায়, সেদিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত বারোয়ারি পুজো বন্ধ করার দাবি জানিয়ে এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আজ, সোমবার ছিল সেই মামলার রায়দানের দিন। আর এই মামলায় হাইকোর্টের তরফ থেকে রায় দেওয়া হল যে, রাজ্যের সমস্ত ছোট-বড় পুজো প্যান্ডেলই ‘নো এন্ট্রি বাফার জোন’, প্যান্ডেল এরিয়ায় ব্যারিকেড থাকবে। সেখানে লেখা থাকবে ‘নো এন্ট্রি জোন’। প্যান্ডেলে দর্শনার্থীদের ঢোকার ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতা আনা হয়েছে। একসঙ্গে 15 থেকে 25 জনের বেশি কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। পুজোয় যাতে অগুনতি মানুষের ভিড় না হয়, সে কথা মাথায় রেখেই এই জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। আর তাতেই এমন রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। যদিও এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত রাজ্যের তরফ থেকে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি

Related Articles

Back to top button