কলকাতা: প্রায় ১১ মাস পর আজ, শুক্রবার (Friday) থেকে খুলল সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও বেসরকারি অধিকাংশ স্কুল (School)। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর প্রায় ৪০ লক্ষ পড়ুয়া (Students)’ফিরেছে ক্লাসে। এর পাশাপাশি চলছে আজ বামেদের (CPIM) ধর্মঘট। সরকারের (state Govt) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত। তবে স্কুলে ঢোকার জন্য মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। জুন (June) মাসে ২০২১ সালের মাধ্যমিক (Madhyamik) ও উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary)। যারা মাধ্যমিক দেবে, তাদের স্কুলে ক্লাস হয়েছে আড়াই মাস। যারা উচ্চমাধ্যমিক দেবে, তাদের সশরীরে একদিনও ক্লাস হয়নি। নানা বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এই পরিস্থিতিতে শেষমেষ স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে পড়ুয়ারা।
দীর্ঘদিন পর স্কুলে যাওয়ার আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে যানবাহন নিয়ে আশঙ্কা। দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলায় পড়ুয়ারা একদিকে যেমন আনন্দিত, তেমনই করোনা পরিস্থিতিতে কতটা মানা সম্ভব দূরত্ববিধি, সেই নিয়ে আশঙ্কিতও। স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্কুলে ঢোকার সময় পড়ুয়াদের দূরত্ববিধি মানতে হবে। ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার। সবাইকে পরতে হবে মাস্ক। ক্লাসরুমে সব সময় দূরত্ববিধি মানতে হবে পড়ুয়াদের। সহপাঠীর টিফিন বা জল খাওয়া যাবে না। সহপাঠীর বই, ব্যাগ বা অন্য জিনিসপত্র ছোঁয়া যাবে না। স্কুল চত্বরে জড়ো হওয়া যাবে না। স্কুলে ঢুকতে পারবেন না অভিভাবকরা।
সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছে, একটি ক্লাসের পড়ুয়াদের দুই বা তা বেশি ঘরে বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। বালিগঞ্জ শিক্ষা সদনের এক শিক্ষিকা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি, প্রিন্সিপালও বলেছেন। এক সঙ্গে বসানো হবে না।’ বেথুন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারী বলেন, ‘একসঙ্গে প্রেয়ার হবে না। টিফিন টাইমটা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।’
তবে প্রশ্ন হচ্ছে সরকার নির্দেশিকা দিলেও তা মানার মতো পরিকাঠামো সব স্কুলের আছে কি? ইতিমধ্যে স্কুল খোলার আগে অভিভাবকদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি স্কুলে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, পড়ুয়াদের করোনা হলে বা তার উপসর্গ দেখা দিলে তার দায়বদ্ধতা স্কুলের নয়। অভিভাবকদের মতে, তাদের সচেতন করতেই এই মুচলেকা।
আর একদিকে, স্কুল খোলার দিনেই রুবি পার্কের ডিপিএস স্কুলে অভিভাবকদের বিক্ষোভ চালু হয়। অনলাইনে ক্লাস, পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ বাহিনী। অভিভাবকদের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণভাবে তাঁরা বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে, কিন্তু তাদের তরফে পুলিশে খোঁজ দেওয়া হয়। অভিভাবকদের দাবি, করোনার জেরে অনলাইনে ক্লাস জারি থাক জানিয়ে একাধিক পড়ুয়া অনলাইনে পিটিশনও জমা দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে।