লাদাখের পর এবার পশ্চিম ও মধ্য ভুটানের সীমান্ত নিয়ে ঝামেলা শুরু করেছে চিনা সেনা। ভুটানের পশ্চিম প্রান্তের ৩১৮ বর্গ কিলোমিটার ও মধ্য ভুটানের সীমান্ত বরাবর ৪৯৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বলে দাবি করেছে চিন। অন্যদিকে ২০১৭ সালে ডোকালায় ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পরও চিন ভুটানের এলাকায় সেনা চলাচল বন্ধ রাখেনি।
এই নিয়ে ভারত আর চিনের বিবাদ লেগে থাকার মাঝেই সেখানে হেলি প্যাড, ভারী যান চলাচলের রাস্তা তৈরি করে চলেছে পিএলএ। প্রসঙ্গত কিছু দিন আগেই চিন প্যাংগং লেকের পশ্চিম তীর দিয়ে মোটর বোট চড়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু তবে প্যাঙ্গন লেকের চারপাশে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের কড়া পাহারা থাকার কারণে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকতে ব্যর্থ হয় চিন।
এরপরেই ভারতীয় সেনার তাড়া খেয়ে নিজেদের অংশে ফিরে যেতে বাধ্য হয় চিনা সেনারা। মে মাস থেকে দখল করে রাখা ফিংগার-ফোরে মঙ্গলবার প্রবেশ করে চিনা সেনারা। মোটর বোটে চেপে ভারতীয় ভূখণ্ডের ভেতর প্রবেশ করার সাথে সাথেই তাদের তাড়া করে ভারতীয় সেনারা আর এই ঘটনার পরেই পাত তারি গুটিয়ে নিজেদের এড়িয়ায় পাড়ি দেয় চিন সেনারা।
দুই দেশের সীমান্ত বিবাদ ছাড়াও ব্যবসা বানিজ্য সব কিছু নিয়েই এখন আলোচনাও হয়। দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নতি নিয়েও এস জয়শঙ্কর এবং ওয়াং ই-র সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা হচ্ছিলো অনেক দিন ধরেই। কিছুদিন আগেই মস্কোয় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মলনে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়ে ফেনঘের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজনাথ সিং।কিন্তু কিছুই লাভ হউনি উলটে এবার লাদাখের মতো একই পদ্ধতিতে গত ১৩ অগাস্ট তোর্সা নালা পার করে ভুটান সীমানায় ঢোকে পিএলএ।