২০ মে আমফানের পর ৩ রা জুন নিসর্গ। একের পর এক ঘূর্ণিঝড়। ২০২০ সালে এই ৬ মাসের মধ্যে ২ টি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের সাক্ষী থাকল দেশবাসী। একটা ঘূর্ণিঝড় প্রায় ২৫০ বছর পর কলকাতাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেল। আর নিসর্গের তান্ডব চাক্ষুস করল মহারাষ্ট্রবাসী ১৩৮ বছর পর। দুটি ঝড় কিন্তু কাকতালীয়ভাবে বুধবার হয়েছে। এই ঝড়গুলির তান্ডবলীলা দেখার পর মানুষের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। গতকালের ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বাংলাতে ঘূর্ণিঝড় প্রায় দেখা যায়। কখনও তা বিরাট আকার নেয়, প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়। কখনো আবার অল্পের মধ্যে দিয়ে যায়। এবারের ঘূর্ণিঝড়ে কলকাতার অবস্থা খুব খারাপ হয়েছিল। তবে মহারাষ্ট্রের ঘূর্ণিঝড় বিরল ঘটনা। ১৮৮২ সালের পর এই আবার ঘূর্ণিঝড় হল। পূর্ব উপকূলে প্রায় ঘূর্ণিঝড়ের আগমন ঘটে। কিন্তু এবার তা তান্ডব দেখালো পশ্চিম উপকূলে।
প্রকৃতির রোষে ঝড় কখন আসবে তা কিন্তু জানা থাকে না। তবে ঝড়ের নাম ঠিক করে রাখা হয় অনেক আগে থেকেই। অনেক পরিক্ষা নিরীক্ষার পর নাম তৈরী হয়। বিভিন্ন দেশের থেকে নাম ঠিক করা হয়। এবারের ঘূর্ণিঝড় নিসর্গের নাম রেখেছিল বাংলাদেশ। আর আমফানের নাম রেখেছিল থাইল্যান্ড। এর পরের ঝড়ের নাম কি?২০০০ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে ঝড়ের নাম ঠিক করে রাখা হয়েছিল। এর পরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘গতি’, এই নাম রেখেছে ভারত। তারপরে পর্যায়ক্রমে রয়েছে- ‘নিভার’ ইরানের দেওয়া নাম, ‘বুরেভি’ মলদ্বীপের দেওয়া নাম, ‘তৌকতাই’ মায়ানমার নাম দিয়েছে এবং ‘ইয়াস’ ওমান নাম রেখেছে।