রাচি হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবারে হয়ে উঠতে চলেছে ঝাড়খন্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি বাহক। তার পাশাপাশি এই কার্যক্রম অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও বৃদ্ধি করবে বলে মনে করছেন অনেকে। সাংসদ সঞ্জয় শেঠ আজ লোকসভায় বলেছেন, বন্দে ভারত ট্রেন এবারে রাঁচি থেকে বেনারস এবং রাঁচি থেকে পুরী পর্যন্ত কাজ করবে। এজন্য তিনি রেলমন্ত্রীকে খুব শীঘ্রই অনুরোধ করতে চলেছেন। খুব শীঘ্রই এর অর্থবহ ফলাফল আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে ভারতীয় রেলওয়ে রাঁচি স্টেশণের কল্যাণমূলক কাজের জন্য ৪৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এর পাশাপাশি হাতিয়া স্টেশনে ৩৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি রাঁচি কে দক্ষিণ ভারতের সাথে সংযুক্ত করার জন্য একটি অন্তদয় এক্সপ্রেস চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন।
ঝারখন সরকারের শিল্প ও সংস্কৃতি মন্ত্রী হাফিজুল হাসান বলেছেন, ট্রেন এবং যাত্রী সুবিধার দিকে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত ভারতীয় রেলওয়ে কে। কেন লোকাল ট্রেন প্রতিদিন লেট করছে সেটা দেখা দরকার। বন্দে ভারত ট্রেন পরিষেবা অবশ্যই প্রশংসনীয় কিন্তু এটা গরীব এবং কৃষকদের জন্য কিন্তু নয়। তিনি রাঁচি- নতুন গিরিডি এক্সপ্রেস মধুপুর পর্যন্ত বৃদ্ধি করার জন্য রেল মন্ত্রকের কাছে দাবী জানিয়েছেন। যাতে মধুপুর এবং সাঁওতাল পরগনার মানুষ এর সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।
অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডের সংসদ ডঃ মহুয়া মাঝি বলেছেন, রেল যাত্রীরা যে দ্রুতগতির ট্রেন পেতে চলেছেন সেটা স্বাগত। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এর ভাড়া এমন হওয়া উচিত যাতে সাধারণ মানুষ যাত্রা করতে পারেন। টিকিটের উচ্চ দামের কারণে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের অনেক সিট্ খালি থেকে যায়। তার পাশাপাশি ভারতীয় রেলের বেসরকারিকরণ করা উচিত নয় বলেও তিনি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে দক্ষিণ পূর্ব রেলের মহাব্যবস্থাপক অনিল কুমার মিশ্র বলেছেন, সারাদেশে রেল যাত্রীদের ভালো সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছে ভারতীয় রেলওয়ে। রাচি হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও তিনি বলেছেন খুব শীঘ্রই রাঁচি থেকে পুরী এবং রাঁচি থেকে বেনারস পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলতে চলেছে। যাত্রীদের যাতে সমস্ত রকমের সুবিধা দেওয়া যায়, তার জন্য জোর কদমে কাজ করছে ভারতীয় রেল