Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

AIMIM ঝড়ে উড়ে যাবে তৃণমূল? নাকি শেষ হাসি হাসবেন সেই প্রশান্ত কিশোর? জল্পনা বঙ্গ রাজনীতিতে

Updated :  Saturday, November 14, 2020 3:16 PM

বিহারের ভোটে পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে নামলেও ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর হঠাৎ একটি অজানা কারণে বিহারের ভোট থেকে সরে আসেন। বিহারের ফল ঘোষণার পর দেখা যায় সেখানে এক্স ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছেন মিম। মিম বেশ কিছুটা ভোট কেটে বিজেপি এবং জেডিইউকে সুবিধা করে দিয়েছেন। আর এর ফলেই ব্যর্থ হয়েছে মহাজোটের সমস্ত আশা।

বিহারের পরে এবারে বাংলাতেও ভোটের লড়াইয়ে নামতে চলেছে মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বা MIM ( মিম )। এখন প্রশ্ন উঠেছে, প্রশান্ত কিশোর যে বাংলায় তৃণমূলের দায়িত্ব নিয়েছেন তা কি ঠিকঠাক ভাবে পালন করতে পারবেন? গ্রাম-শহরের সমীক্ষা গবেষণার সুফল কি তৃণমূল পাবে? এতদিন পরে যদি এআইএমআইএম তৃণমূলের ভোট কেটে বিজেপিকে সুবিধা করে দেয় তাহলে প্রশান্ত কিশোরের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যেতে চলেছে।

প্রশান্ত কিশোরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি। আর খুব ছোট্ট একটি ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। কিন্তু এবারে বঙ্গের ভোটার তালিকায় আরও একটি নাম এসে হাজির হয়েছে। এই নামটি হল অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন ওরফে এআইএমআইএম। এই দলের প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন তিনি বাংলায় ভোট লড়তে আসছেন। আর তার আগমনেই অশনিসংকেত দেখছে ঘাসফুল ব্রিগেড। আসন্ন বঙ্গ নির্বাচনে তৃণমূলের কাটা হয়ে দেখা দিতে পারে ওয়েসির দল। তাহলে বিহারের পর কি এবার ভোট কাটার রাজনীতির পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে বঙ্গে?

তবে শুধুমাত্র এআইএমআইএম নয়, তৃণমূলের আরো একটি কাটা হল ত্বহা সিদ্দিকীর ভাইপো। ত্বহা সিদ্দিকীর ভাইপো ঘোষণা করেছেন যে তারা ১৪৪টি আসনে লড়বে। অন্যদিকে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মিম লড়বে ১০০টি আসনে। এই দুটি দল যদি তৃণমূলের ভোট কেটে দেয় তাহলে অনেকটা বেশি সুবিধা পাবে মোদির বিজেপি।

পশ্চিমবঙ্গের চারটি জেলাকে মূলত সফট টার্গেট করে এগোচ্ছেন আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। এই চারটি জেলা হল – মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, এবং দক্ষিন দিনাজপুর। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গের তিনটি জেলায় বিজেপি বেশ কিছুটা শক্তিশালী। বাকি থাকে মুর্শিদাবাদ। তবে সেখানে আবার তৃণমূল এবং বিজেপির থেকে কংগ্রেসের শক্তি অনেকটা বেশি। তাই মনে করা হচ্ছে, আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বঙ্গের ভোট রাজনীতিতে এক্স ফ্যাক্টর হিসেবে চলে আসতে পারেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে।