নিজস্ব প্রতিনিধি: কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয় গঙ্গাসাগর মেলায়। যত দিন যাচ্ছে সেখানে ভিড় বাড়ছে পূন্যার্থীদের। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সরকারি পরিষেবাও। পূন্যের খোঁজে গিয়ে মানুষকে যেন কোনও সমস্যায় না পড়তে হয় সেটা নিশ্চিত করাই সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে বহু বয়স্ক মানুষ এই মেলায় যান। তাঁদের কোনওরকম শারীরিক সমস্যা হলে যাতে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় সেদিকটা খেয়াল রেখে এ বছর থাকবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। এর ফলে গুরুতর কোনও সমস্যা হলে সেই তীর্থযাত্রীকে তৎক্ষণাৎ পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে। সূত্রের খবর, প্রথম বছর দু’টি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করা হবে।
ফি বছর সাগর সঙ্গমে ডুব দিয়ে মনের সব জরাকে দূরে ঠেলে নতুন উদ্যমে পথ চলা শুরু করেন কয়েক লক্ষ মানুষ। কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিয়ে দৈনন্দিন ক্লেশকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চান তাঁরা। শুধু বাংলা বা ভারতই নয়, বিদেশ থেকেও বহু মানুষ আসেন এই সময়। লক্ষ্য একটাই, পূণ্যার্জন। এত মানুষের সমাগমে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে যায়। কেউ আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন ভিড়ের ঠেলায়। পরিস্থিতি এমন হয়, সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার বড় কোনও চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। এতদিন হেলিকপ্টার তো ছিলই। এ বছর তারই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।
আরও পড়ুন : প্রথমে গ্রেফতার, পরে জামিনে মুক্তি পেলেন বাংলার দুই বিজেপি সাংসদ
আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে গঙ্গাসাগর মেলা। তার আগেই দু’টি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা সেরে রাখতে চাইছে সরকার। একেবারে নিখরচায় এই পরিষেবা পাবেন তীর্থযাত্রীরা। অনেকেই বলছেন, সময়ের সঙ্গে পা মিলিয়ে আধুনিক হয়ে উঠছে বাংলার এই ঐতিহ্যশালী উৎসব।
তবে সরকার বলছে, প্রতিটা মানুষের জীবন অত্যন্ত দামি। যেকোনও উপায়ে তা রক্ষা করাই কর্তব্য। জেলা প্রশাসনের কথায়, গঙ্গাসাগর মেলাকে ঘিরে এবার একগুচ্ছ নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স অন্যতম। এর ফলে সাগর মেলায় বহু মানুষকে সঙ্কট থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে বলেই আশাবাদী তারা।