৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮ টা ১২ মিনিটে সকলকে অবাক করে দিয়ে চিরঘুমের দেশে বিলীন হয়ে গেছেন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। চিরদিনের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেছে তাঁর কোকিল কন্ঠ। ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে রীতিমতো শোকোস্তব্ধ গোটা দেশ। ৯২ বছর বয়সে করোনা পরবর্তী অসুস্থতায় মৃত্যু হল তাঁর। প্রায় ১ মাস আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকে আর বাড়ি ফেরা হল না কিংবদন্তির। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং বলিউডের সমস্ত প্রথম শ্রেণীর অভিনেতা অভিনেত্রীরা শিবাজী পার্কে উপস্থিত হয়েছিলেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলবেলা মুম্বাইয়ের শিবাজী পার্কে রাষ্ট্রীয় সম্মানের সাথে শেষ বিদায় জানানো হয় সুরের সরস্বতী লতা মঙ্গেশকরকে। কিংবদন্তির শেষ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ এবং বলিউডের প্রথম শ্রেণীর তারকারা। পাশাপাশি চোখের জলে সোশ্যাল মিডিয়াতে লতাজিকে স্মরণ করে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন লাখো লাখো সাধারণ অনুরাগী। তবে সমস্ত কিছু হয়ে যাওয়ার একদিন পর ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, লতা মঙ্গেশকরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন। আর সেই পোস্ট দেখে বেজায় ক্ষেপেছেন নেটিজেনরা।
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ইনস্টাগ্রামে লতা মঙ্গেশকরের একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশন দিয়ে লেখেন, “আপনার দিব্য আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি লতাজি। আমি শব্দ হারিয়ে ফেলেছি। ঈশ্বর আশীর্বাদ করুক।” তবে এই পোস্ট করতেই তার কমেন্টে গিয়ে ব্যাপক ট্রোল শুরু করে নেটিজেনরা। কেউ কমেন্ট করে লিখেছেন, “ম্যাডাম বড্ড তাড়াতাড়ি আপনার মনে পড়ে গেল না”। তো আবার কেউ কমেন্ট করে লিখেছেন, “এত দেরি হয়ে গেছে, হাদ হ্যা ইয়ার”। আবার তো একজন সরাসরি লিখেছেন, “ম্যাডাম জেগে উঠেছেন এবার। এতক্ষণে মনে পরেছে।” সবমিলিয়ে বিভিন্ন মন্তব্যের মাধ্যমে ব্যাপক ট্রোল হচ্ছেন বচ্চন ঘরানি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯২৯ সালের ২৪ শে সেপ্টেম্বর একটি অত্যন্ত মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। মাত্র ৫ বছর বয়সে বাবার সাথে থিয়েটারে অভিনয় করতেন সুর সম্রাজ্ঞী। তবে তিনি বিভিন্ন জায়গাতে অভিনয় করলেও, তাঁর স্বপ্ন ছিল বড় গায়িকা হওয়ার। কিন্তু হঠাৎ করে গায়িকার ১২ বছর বয়সে বাবা মারা যান। সংসারের সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়ে ছোট্ট লতাজির। তখন থেকেই তিনি অর্থ উপার্জনের জন্য একাধিক হিন্দি এবং মারাঠি ছবিতে কাজ করতে শুরু করেন। ১৯৪২ সালে প্রথম তিনি মারাঠি ছবি ‘কিতি হাসল’ এ গান গেয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তারপর থেকে কোনোদিন পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি আর তাঁকে।