আগামীকাল থেকে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল, করোনা ত্রাসে উদ্বেগে রাজ্যবাসী
পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও আগামীকাল থেকে স্কুলে আসতে হবে না
চলতি সপ্তাহে ভারতে করোনা পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত খারাপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউতে রীতিমতো নাজেহাল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। নতুন মিউটান্ট স্ট্রেন সংক্রমণ দ্রুতগতিতে করছে এবং মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে উল্লেখযোগ্যভাবে। সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে চলতি সপ্তাহে দৈনিক সংক্রমনের গ্রাফ ২ লাখ ৭৩ হাজারের গণ্ডি ছুঁয়েছে। গোটা দেশের পাশাপাশি ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি রাজ্যতেও। প্রায় প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমনের সংখ্যা। গতকাল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান আরো উদ্বেগে ফেলেছে রাজ্যবাসীকে। গতকাল জানা গিয়েছিল যে বাংলায় প্রতি ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু হচ্ছে ১ জনের ও আক্রান্ত হচ্ছে ৩৫০ জন। এমন গগনচুম্বী পরিসংখ্যান রীতিমতো ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এরইমধ্যে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত স্কুল। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আপাতত গরমের ছুটিকেই আগিয়ে নিয়ে আসার ভাবনা বাস্তবায়িত করতে চাইছে শিক্ষা দপ্তর। যতদিন না পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে ততদিন রাজ্যের সব স্কুল বন্ধ থাকবে। পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও স্কুলে যেতে হবে না। রাজ্য সরকার সরকারি স্কুলের পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলিকে বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছে। এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “বর্তমানে রাজ্যের করো না পরিস্থিতির কথা বিচার করে আমরা সমস্ত স্কুলের গরমের ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে মুখ্যসচিবের কথা হয়েছে এরই মধ্যেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরপরই আলোচনার পরেই আবার স্কুল খোলা হবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনার ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে স্থগিত করা হয়েছিল সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা বা জেইই মেইন। গতকাল অর্থাৎ রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছেন, “বর্তমানে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার কথা বিচার করে আমি ন্যাশানাল টেস্টিং এজেন্সিকে জেইই মেইন ২০২১ সেশন এর পরীক্ষা স্থগিত রাখার পরামর্শ দিয়েছি। পড়ুয়াদের সুরক্ষা ও তাদের শিক্ষাগত ক্যারিয়ারের ওপর সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেয় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।”