আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি পূর্ণ উদ্যমে তাদের ভোট জয়ের উদ্দেশ্যে প্রচার করতে মাঠে নেমে পড়েছে। কিন্তু নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস দলবদল ইস্যুতে বেশ অস্বস্তিতে আছে। কারণ এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) যখন রাজ্যে এসেছিলেন তখন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) সহ একঝাঁক তৃণমূল নেতা বিজেপিতে গিয়ে যোগদান করেছিল। এমনকি তারপর থেকে মাঝেমাঝেই এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। আবারো চলতি মাসের ৩০ তারিখে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। তাহলে আবারো কি তৃণমূল শিবিরে দলবদলে ঢল নামবে?
অবশ্য তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক দলের হাল ধরতে ২৯ জানুয়ারি অর্থাৎ আজ তৃণমূল ভবনে দলের সাংসদদ ও বিধায়কদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক আয়োজন করেছিলেন। তিনি আজকের বৈঠকে একুশে নির্বাচনের আগে রণকৌশল স্থির করার জন্য অনেকক্ষণ আলোচনা করেন দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে। সেই সাথে তিনি আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে বার্তা দিয়েছেন। অন্যদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বা বৈশাখী ডালমিয়ার বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ভাবমূর্তি নষ্ট এমন কোন মন্তব্য যাতে না করা হয়। যতদিন পর্যন্ত না নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হয় আপাতত ততদিন মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে প্রচার করতে হবে। প্রত্যেকের কাছে পৌঁছানোর বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আজ বৈঠক শেষে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় দলের তরফে কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের অনমনীয় মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন সাধারণতন্ত্র দিবস লালকেল্লা কৃষকদের আন্দোলনের ঘটনায় একজন বিজেপি জড়িত রয়েছে। রাষ্ট্রপতি এদিন কৃষি আইনকে সম্মান জানান। তবে রাষ্ট্রপতিকে সম্মান জানালেও তিনি কৃষি আইনকে কখনও জানাবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি জানান, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ হবে ও ৮ ফেব্রুয়ারি বাজেট পাশ হবে।