লকডাউনের মাঝেই ফের বাংলার চটকলগুলি চালু করার নির্দেশ দিলো কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রক। এর আগেও এপ্রিলের শুরুর দিকে এই নির্দেশ দিয়েছিলো তারা। বুধবার দিল্লী থেকে এই সংক্রান্ত তৃতীয় চিঠিটি আসার পর বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠকের ডাক দেন। সেখানে তিনি বলেন, “আগামী ২০ তারিখ থেকে রাজ্যের সমস্ত জুট মিলে আবারও উৎপাদন শুরু হবে। তবে লকডাউনের নিয়মগুলি মেনেই কাজ করা হবে। কেন্দ্র থেকে পাঠানো চিঠিতে নির্দিষ্ট ১৮টি জুটমিল খোলার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা ডিসক্রিমিনেট করতে পারি না। এই কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ১৫ শতাংশ শ্রমিক এবং কর্মী নিয়ে, লকডাউনের সমস্ত নিয়ম মেনে রাজ্যের জুটমিলগুলি চালু করা হবে।”
তবে রাজ্যের বেশিরভাগ জুটমিলগুলি সংকীর্ণ এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কাজ শুরু হওয়ার পর সমস্ত কর্মীর নিয়মিত মেডিক্যাল চেক আপ করা হবে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতেও জুটমিল খোলার প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন এই বিষয়টি মুখ্যসচিব দেখবেন।
জুটমিল খোলার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার কেন নিলো সেটিও ব্যাখ্যা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান “ইতিমধ্যেই দেশে রবিশস্য কাটা শুরু করে দিয়েছেন বেশিরভাগ কৃষকরা। সেইজন্য অনেক চটের বস্তার প্রয়োজন। তেলেঙ্গানা এবং পাঞ্জাব সরকার আমাদের কাছে পাটের বস্তা চেয়েছে, এছাড়া রাজ্যেও এর প্রয়োজন। তাই এখন যদি উৎপাদন শুরু না করা যায় তাহলে প্লাস্টিক ঢুকে বিপদ আরও বাড়িয়ে তুলবে।”
অন্যদিকে লকডাউনের মধ্যে কী কী খোলা থাকবে সেই সম্পর্কিত একটি গাইডলাইন কেন্দ্রীয় সরকার সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পাঠিয়েছে। সেই ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওই গাইডলাইনের আওতায় থাকা কোনো প্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরু করতে চাইলে মুখ্যসচিবের কাছে আবেদন করতে পারেন।