রাজ্য সরকার এ বছরের বঙ্গবিভূষণ এবং বঙ্গ ভূষণ পুরস্কার দেবে আগামী ২৫ শে জুলাই সোমবার। নজরুল মঞ্চে পুরস্কার দেওয়ার সেই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না বাংলার নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ডক্টর সেনের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের পুরস্কার দেবার প্রস্তাব সসম্মানে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি বিদেশে রয়েছেন এবং এই কারণে সোমবারের সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি থাকতে পারছেন না। এই মুহূর্তে দেশে ফেরার কোন পরিকল্পনা নেই এই নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদের। জানা গিয়েছে, অমর্ত্য সেন চাইছেন অন্য কেউ এই পুরস্কার পান। কিন্তু কেন তিনি বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার নেবেন না সে ব্যাপারে অবশ্য তার পরিবারের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
অমর্ত্য সেন ছাড়াও অপর এক নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বঙ্গবিভূষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তিনি অবশ্য এই পুরস্কার নিয়ে বা না নেওয়ার বিষয়ে কিছু জানার নেই এখনো পর্যন্ত। এবছরের বঙ্গবিভূষণের তালিকায় নতুন চমক কলকাতা ময়দানে তিনজন প্রধান। ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধারায় অবদানের জন্য মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডানকে বঙ্গবিভূষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি তিনটি ক্লাবের কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার এর পাশাপাশি দেওয়া হবে বঙ্গভূষণ পুরস্কার। সংস্কৃতি জগতের বিভিন্ন শিল্পীদের বরণ করে নেওয়া হবে এই পুরস্কারের মাধ্যমে। তাদের মধ্যে রয়েছেন তবলা বাদক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, শরদ বাদক দেবজ্যোতি বসু, গায়িকা কৌশিকী চক্রবর্তী, শ্রেয়া ঘোষাল, এবং গায়ক অরিজিৎ সিং এবং অভিনেতা দেব।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করার জন্য চিঠি লিখে বিশিষ্টজনেদের আহবান জানিয়েছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। দুই নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেন এবং অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় ছাড়াও আরো কয়েকজন প্রথিতযশার কাছে চিঠি লিখে এই আবেদন করেছিলেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলছেন, এই রাজ্য সম্পূর্ণ দুর্নীতিতে কলুষিত তাই এই রাজ্যের সম্মান বয়কট করুন।