করোনার মেয়াদ ফুরালেই কি আমাজান ভাইরাসের আবির্ভাব- চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বৈজ্ঞানিক মহলে!
সম্প্রতি কোভিড-১৯ এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে, এক কথা আমরা সকলেই জানি। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে এই ভাইরাসের তাণ্ডব লীলায়ে মনুষ্য জীবন বিপন্ন আজ। এযেন এক মৃত্যু মিছিল, যার কোন শেষ নেই। মানুষের অস্তিত্বই এক সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের সম্মুখে। শুরু হয়ে গেছে লকডাউন। হাজার হাজার মানুষের মুখের অন্ন কে যোগাবে এখন সেটাই দেখবার! প্রচুর মানুষ তাদের জীবিকা হারাতে বসেছেন। এক কথায় আর্থ সামাজিক অবস্থা এক উদ্বেগজনক স্থানে পৌঁছেছে!
এরই মাঝে বিজ্ঞানীদের কপালে ভাঁজ পড়েছে।তাঁরা অনুমান করছেন যে এখানেই শেষ নয়! এখনও অনেক কিছু দেখতে হবে! আমেরিকার আমাজন ব্যাসিন আমাদের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে প্রায় বিশ শতাংশ অক্সিজেন সাপ্লাই করে থাকে। প্রকান্ড এই বনভূমিতেই নেমে এসেছে এক কালো ছায়া! একের পর একের বনভূমি ধ্বংস হওয়ায়, ভারসাম্যতা ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে বনের পশুপাখিরা অন্যত্র আশ্রয় খোঁচবার চেষ্টায় রয়েছে প্রতিনিয়ত! অনুমান করা হচ্ছে এদের থেকেই ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার “চান্স” প্রবল থেকে প্রবলতর! এছাড়া বিজ্ঞানীদের মতে আমাজনে এমন সব পশুপাখির জাতি উপজাতি বর্তমান, যাদের সম্পর্কে আজও কোন সঠিক তথ্য নেই। আর এখানেই লুকিয়ে আছে সকল রহস্য! ভাইরাস সংক্রমে প্রায় নব্বই শতাংশ অবদান থাকতে পারে এদের, এমনটাই মনে করা হচ্ছে!
মহামারীর প্রথম অধ্যায় এখনও শেষ হয়নি। তারই মাঝে এই ধরণের খবর এক শিহরণ জাগায়, নিশ্চিতরূপে! যদি এই রকম কিছু ঘটে, তাহলে বলাবাহুল্য পৃথিবীর বুকে থেকে চিরতরে মুছে যেতে পেতে এই “গর্বিত” মনুষ্যজাতি।মেডিক্যাল সায়েন্স এর অত্যাধুনিক আবিষ্কারও বিফলে যেতে পারে, প্রকৃতির এই রোষানলের সম্মুখে। তাই আজ করোনা হোক, আমাজান ভাইরাস হোক, এই সব কিছুর পেছনে দায়ী আমরা! ভুলে গেলে চলবে না, প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ করলে,প্রকৃতিও তাঁর প্রতিশোধ নেবে, এবং সেটাই আজ বর্তমান!!
– কুণাল রায়