শ্রেয়া চ্যাটার্জি – মুম্বাইবাসী একজন অসহায় মা নেহা কুমারি তার শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশুর জন্য উটের দুধ লাগবে এই বলে একটি ট্যুইট করেন। লকডাউনের জন্য পাওয়া যাচ্ছে না উটের দুধ, কিন্তু এই দুধ ছাড়া তার সন্তানকে তিনি বাঁচাতে পারবেন না, এই ছিল তার কাতর আর্তি। লকডাউনের জন্যও তিনি পরিমাণ মতো উটের দুধ মজুত রাখতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে তিনি তার এই ট্যুইটটি করেন, তাতে লেখা ছিল সাড়ে তিন বছরের তার বাচ্চা অর্টিজমে আক্রান্ত।
বাচ্চাটি বেঁচেই থাকে উটের দুধের উপর নির্ভর করে। উড়িষ্যার একজন পুলিশ অফিসার অরুণ বোথ্রা, যিনি এই লেখা টি দেখতে পান। তিনি আশ্বস্ত করেন যে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন এবং তিনি আরও জানান, তিনি রাজস্থান থেকে পরিশুদ্ধ উটের দুধ আনানোর ব্যবস্থা করারও চেষ্টা করছেন। সবশেষে প্রায় ২০ লিটার উটের দুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ট্রেন এর মাধ্যমে যা শেষ পর্যন্ত মুম্বাইতে পৌঁছেছে। স্যালুট জানাতে হয় এই পুলিশ অফিসার কে। এ সমস্ত মানুষরা তাদের কাজের মাধ্যমে প্রত্যেকের মনে থেকে যান।
শিশুর মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য কাতর মিনতি জানিয়েছিলেন এই অসহায় মা। তার মিনতি উড়িষ্যার পুলিশ অফিসার এর কানে গিয়ে পৌঁছনো মাত্রই, শুরু করে দিয়েছেন কাজ। এইসব মানুষদের দেখলে মনে হয় আমাদের পৃথিবীটা এখনো পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়নি। ভালো মানুষ বেঁচে আছেন। কতগুলো খারাপ মানুষের জন্য পৃথিবী কলুষিত হচ্ছে। আবার একথাও ঠিক খারাপ মানুষ না থাকলে, ভালোর মর্যাদা হত না।