বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ বলে একজনই পরিচিত। তাঁর নাম আমির খান (Amir khan)। যে কোনো ধরনের ফিল্মে অবলীলায় নজর কেড়ে নেন আমির। তবে আপাতত করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি ঘরবন্দী। এর মধ্যেই সামনে এল তাঁকে নিয়ে এক অদ্ভুত খবর। বলিউডে আমিরের ডেবিউ ফিল্ম ছিল ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’। এই ফিল্মে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আমির। তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন জুহি চাওলা (juhi chawla)। আমির-জুহির জুটি সারা ভারতবর্ষে জনপ্রিয় হয়েছিল। ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’ ছিল সুপারহিট ফিল্ম। এই ফিল্মের প্রত্যেকটি গান হিট ছিল।
‘কয়ামত সে কয়ামত তক’ আমিরের ডেবিউ ফিল্ম বলে তাঁর হৃদয়ে অন্যতম স্থান দখল করে আছে ফিল্মের শুটিংয়ের দিনগুলি। কিন্তু এই ফিল্মের মিউজিক রেকর্ডিং-এ আমিরের সঙ্গে ঘটেছিল অপ্রীতিকর ঘটনা। ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’-এর পরিচালক নাসির খান (Nasir khan)-এর ভাইপো ছিলেন আমির। শুধুমাত্র নায়কের ভূমিকায় নয়, আমির একইসঙ্গে এই ফিল্মের সহকারী পরিচালক ছিলেন। জুহির অডিশন নেওয়া ও প্রি-প্রোডাকশন ও পোস্ট-প্রোডাকশনের যাবতীয় কাজের দায়িত্ব আমিরের উপর ছিল।
কিন্তু মিউজিক রেকর্ডিং-এর সময় সমস্যার সূত্রপাত হল। সহকারী পরিচালক হিসাবে মিউজিক রেকর্ডিং-এর সময় স্টুডিওয় আমিরের থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’-এর গানের রেকর্ডিং-এর সময় অলকা ইয়াগনিক (Alaka yagnik) এসেছিলেন স্টুডিওতে। অলকা একসময় অভিযোগ করেন, আমির নাকি বারবার তাঁর দিকে তাকাচ্ছেন। ফলে অলকার অস্বস্তি হচ্ছিল। এই কারণে অলকা আমিরকে স্টুডিও থেকে বার করে দিয়েছিলেন। অলকা তখনও জানতেন না আমির পরিচালকের আত্মীয় ও নায়ক। কোনো প্রতিবাদ না করে স্টুডিও থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন আমির। এরপর নাসির রেকর্ডিং দেখার জন্য স্টুডিওতে আসেন। সেইসময় বাইরে আমিরকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাঁকে নিয়ে স্টুডিওতে ঢুকে অলকার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন নাসির। আমিরের পরিচয় পাওয়ার পর অলকা নিজের ভুল বুঝতে পেরে আমিরের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।