একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন দোড়গোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। এই মুহূর্তে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে তাদের কোন ত্রুটির জন্য তাদের হারাতে না হয়। ইতিমধ্যেই গত রবিবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ৬৩ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির। তবে সেখানেই হয়েছে বিজেপির কাল। নতুন প্রার্থী তালিকা খুব একটা পছন্দ হয়নি পুরনো বিজেপি কর্মীদের। এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়ন সংক্রান্ত নাম বিভ্রাট থেকে শুরু করে গতকাল অমিত শাহের কপ্টার খারাপ হওয়া অব্দি একাধিক ইস্যুতে জর্জরিত গোটা বঙ্গ গেরুয়া শিবির।
আসলে গতকাল বিজেপি সদরদপ্তর কার্যালয় হেস্টিংসে বিজেপির পুরনো নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ দেখায় এবং দাবি করে যে তাদের বিজেপি প্রার্থীর তালিকা পছন্দ হয়নি। প্রায় ৫০০ জন বিজেপি নেতা কর্মী হেস্টিংসের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ শুরু করে। দরজা ভেঙ্গে অফিসের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এমনকি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের গাড়ি আটকে তারা বিক্ষোভ দেখায়। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিক্ষোভকারীদের। নির্বাচনের আগে এমন বেনোজির ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
বিক্ষোভের খবর পেয়ে গোহাটি থেকে জরুরি ভিত্তিতে কলকাতায় এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি গভীর রাতেই রাজ্য বিজেপি নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বরা। এই রাজারহাটের পাঁচতারা হোটেলের বৈঠকে এমন কি যোগদান করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। রাত থেকে শুরু করে প্রায় ভোর রাত অব্দি বৈঠক চলে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে বৈঠকে দলীয় নেতাদের সাথে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা কথা বলেন। এছাড়াও যে সমস্ত প্রার্থীদের সমস্যা হয়েছে তা মেটানোর পরামর্শ দেন তারা। এমনকি বিজেপি উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের এই সমস্যা মেটানোর জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়াও প্রথম দুই দফার প্রার্থী নিয়ে ফের পর্যালোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।