একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রথম দুই দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বাকি এখনও ৬ দফা নির্বাচন। আর তাতে জয়লাভের জন্য প্রচারে ঝড় তুলতে বাংলায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি গতকাল উত্তরবঙ্গে একাধিক জনসভা করে গেরুয়া শিবিরের প্রচার করেছেন। তিনি গতকাল আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সরকারের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কথা সামনে তুলে ধরে বলেছেন, “বিজেপি ভোটে জিতল বালি কয়লা মাফিয়াদের জেলে পাঠাবো। তৃণমূল কংগ্রেস ওদেরকে আটকাতে পারেনি। কিন্তু আপনারা ভোট দিয়ে বিজেপিকে সরকারে আনলে আমরা সব বালি কয়লা মাফিয়াদের ঘর থেকে বার করে এনে জেলে ঢোকাবো।” প্রসঙ্গত, বিজেপি বাংলায় প্রচার করার শুরুর সময় থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসাবে বারংবার বালি কয়লা মাফিয়াদের প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন।
গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রথমে উত্তরবঙ্গের শীতলকুচিতে একটি জনসভায় উপস্থিত হন। সেখানে জনসভায় সেরে তিনি আলিপুরদুয়ারে তার দ্বিতীয় জনসভায় উপস্থিত হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক তোপ দাগেন। উত্তরবঙ্গের মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, “কলকাতা থেকে কোচবিহারের দূরত্ব ৭০০ কিলোমিটার। কিন্তু দিদি মনে করেন এই দূরত্ব ৭০০০ কিলোমিটার। ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর উত্তরবঙ্গে তিনি যে কতবার এসেছেন তা সবার জানা আছে। তিনি গোর্খা রাজবংশী সম্প্রদায়ের লোকের জন্য কিছু করেনি।” সেই সাথে তিনি বিজেপি জিতলে উত্তরবঙ্গের প্রভূত উন্নয়ন হবে বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, “বিজেপি উত্তরবঙ্গে জিতলে চা বাগানের শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি পাবে। এখন প্রতিদিনের বেতন ২১০ টাকা। বিজেপি জিতলে বেতন হবে ৩৫০ টাকা। এছাড়া চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা দেয়া হবে। রাজবংশী এবং গোর্খা সম্প্রদায়ের লোকদের জন্য নতুন প্রকল্প আনা হবে। নেপালিদের জন্য নতুন স্কুল তৈরি হবে। উত্তরবঙ্গে এইমস এর ধাঁচে একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল তৈরি হবে।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন উপস্থিত জনতাকে পদ্মফুলে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। সেই সাথে তিনি নয়া পদ্ধতি অবলম্বন করার কথা জানিয়ে সকলকে বলেছেন, “আজকের জনসভায় আপনারা ৫০ হাজার জন এসেছেন। কিন্তু এতে বিজেপি জিততে পারবেনা। আপনারা আজ সভা থেকে বেরিয়ে নিজের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবের মধ্যে ৫০ জনকে ফোন করবেন এবং তাদের পদ্মফুলে ভোট দেয়ার জন্য অনুরোধ করবেন। আপনাদের সাহায্যেই বিজেপি বাংলায় জয়লাভ করলে সোনার বাংলা তৈরি করবে।” এছাড়াও দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন যে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে হেরে গেছে।”