রাজ্য সফর শেষ হতে না হতেই আবারো পশ্চিমবঙ্গে সফর করতে আসতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে এবারে কিন্তু শুধুমাত্র অমিত শাহ নয় এবার তার সাথে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও। দিন কয়েক আগে রাজ্য নেতৃত্বকে অমিত শাহ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, নির্বাচনের আগে তিনি বাংলায় নিয়মিত আসবেন। এবং সেই কারনেই মনে করা হচ্ছে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে জানুয়ারি মাসে তার বাংলায় আসার কথা।
বিজেপি সূত্রে খবর, ১২ অথবা ১৪ জানুয়ারি তিনি বাংলায় আসতে চলেছেন। বাংলা এসে হাওড়া ডোমজুড়ে তিনি সভা করতে চলেছেন। জানিয়ে রাখি, ডোমজুড়ে বিধায়ক হলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তার এলাকাতেই সভা, এই কারণে এই সভা নিয়ে বেশ কৌতুহল আছে রাজ্যের জনসাধারণের মধ্যে। মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবারও কি তাহলে দলবদল এর সম্ভাবনা আছে? এই প্রশ্ন ঘুরছে বর্তমানে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মনে। যদিও রাজিব ব্যানার্জি এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, “দলের সঙ্গে আমার কোনো রকম দূরত্ব নেই। আমি শুধুমাত্র পারিবারিক কারণে গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারিনি। আমাকে নিয়ে জল্পনা কল্পনার কোনো প্রয়োজন নেই।”
অমিত শাহ রাজ্য থেকে চলে যাওয়ার পরে পুনরায় রাজ্যে আসতে পারে নরেন্দ্র মোদি। ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্ম তিথিতে তার বাংলায় আসার কথা। এই দিন তিনি সভা করতে চলেছেন খাস কলকাতায়। চলতি বছরে নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী পালন হবে। বেশ কিছুদিন হল বাংলার মনীষীদের নিয়ে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব একেবারে উঠে পড়ে লেগেছে। তাই মোদির কলকাতা সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে মতামত রাজনৈতিক মহলের।
অন্যদিকে, বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিরাগত বলে কটাক্ষ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার কাঁথির সভা থেকে সৌগত রায় বলেছেন,”এই নির্বাচন বাহারি বনাম বাঙালির লড়াই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালির প্রতিনিধি।” বলাই বাহুল্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহিরাগত তকমাতে কিন্তু দমার নয় বিজেপি। বিজেপির স্থানীয় নেতারা বারংবার বাংলায় সভা করে চলেছেন। এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছেন,” অমিত শাহ জেপি নড্ডা নিয়মিত রাজ্যে আসতে চলেছেন। এখন দুদিন থাকছেন। প্রয়োজনে তারা এক সপ্তাহ থাকতে পারেন।”