বৃহস্পতিবার সকালে শক্তি সঞ্চয় করে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ শনিবার সন্ধায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে জানালো আবহাওয়া দপ্তর। বর্তমানে এই নিম্নচাপটি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে বলে জানা গিয়েছে। এও জানা গিয়েছে যে শুক্রবারে এটি মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। ঘূর্ণিঝড়টি আগামী রবিবার পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। এছাড়াও ১৮ এবং ১৯শে মে সেটি উত্তর বঙ্গোপসাগরে শক্তি সঞ্চয় করে কোন দিকে যাবে সেই দিকে নজর আবহাওয়াবিদদের।
শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টির ‘আমফান’ নামকরণ করেছে থাইল্যান্ড। রাজ্যজুড়ে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার থেকে আবহাওয়া পরিবর্তন হয় মঙ্গলবার থেকেই শুরু হবে বৃষ্টি। বিশেষ করে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। শুধু তাই নয় উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল অংশে ৭০-১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হবে বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বুধবার পর্যন্ত ৭০-২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠবে। তাই পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সোমবার থেকেই সমুদ্র না যাওয়ার নির্দেশ এবং যারা গভীর সমুদ্রে রয়েছেন তাদের সোমবারের আগেই ফিরে আসতে বলা হচ্ছে।