আন্তর্জাতিকনিউজ

১০০ দিনের কাজ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ

Advertisement

১০০ দিনের কাজের টাকা যাচ্ছে বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাাউন্টে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের চেনাজানা লোকেদের টেন্ডার দিয়েছেন তিনি। যারা কাজ করছেন, তারা অধিকাংশ বাংলাদেশের নাগরিক। এমনই অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। ঘটনা সামনে আসতেই গ্রেফতার ২। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় বিডিও নিজেও।

দীর্ঘদিন ধরে মুর্শিদাবাদে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকছে বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্যাঙ্ক আ্যকাউন্টে। চাঞ্চল্যকর এই  দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের  তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গুড়োপশলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সামসুল আরফিন ও পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী সাফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পাওয়ার পরে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নবগ্রাম থানায় লিখিত এফ আই আর দায়ের করেছেন নবগ্রাম ব্লকের বিডিও শ্রী পঙ্কজ দাস। ঘটনার পরেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েতের মহাত্মা গান্ধী জাতীয় কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পের ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ টাকায় নির্মিত ইকো পার্ক এর কাজে প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিকদের নামে জব কার্ড ও ব্যাঙ্কের আ্যকাউন্ট খুলে  ১০০ দিনের কাজের মজুরি পাইয়ে দিয়েছেন।

অভিযোগ, এই বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে অভিযুক্ত দুজনের নিকটাত্মীয় রয়েছেন অনেকে। মজুরির এই টাকা নিজেরা তাদের এটিএম কার্ড দিয়ে তুলে আত্মসাৎ করেছেন। যে টাকার পরিমান প্রায় কয়েক লাখ টাকা। এই অভিযোগ করেছেন নবগ্রাম ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মীর বাদাম আলি।  তদন্তে সত্যতা মেলে বলে স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট বিডিও পঙ্কজ দাস। এরপরেই নবগ্রাম থানায় দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করে নবগ্রামের বিডিও। বিষয়টি যথেস্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে জানা গিয়েছে।

Related Articles

Back to top button