সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে বিখ্যাত অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য-এর একটি নগ্ন ভিডিও। এই ভিডিওতে অনির্বাণকে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় তাঁর সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌনতায় মেতে উঠতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওতে অনির্বাণের সঙ্গিনীও নগ্ন। এই ভিডিও নিয়ে এই মুহূর্তে সাইবার দুনিয়ায় সমালোচনা তুঙ্গে। নেটিজেনদের একাংশের মতে, এটি অনির্বাণের ব্যক্তিগত জীবনের ভিডিও। কেউ বলেছেন, অনির্বাণের মত ‘ইউথ আইকন’ অভিনেতার কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না। তবে নেটিজেনদের কয়েকজন বলেছেন, এটি পরিচালক জয়রাজ ভট্টাচার্যের ফিল্ম ‘ঘচাং ফু’-র একটি দৃশ্য। অনেকেই বলেছেন, পেশাদার অভিনেতারা চিত্রনাট্যের চাহিদা অনুযায়ী যদি এই ধরনের দৃশ্যে অভিনয় করে থাকেন, তা অশ্লীল বলে প্রমাণ হয় না। একজন শিল্পীর প্রফেশনাল লাইফ ও পার্সোনাল লাইফের মধ্যে পার্থক্য আছে। বহু ইউটিউবার অনির্বাণকে নিয়ে সমালোচনার বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, এটা পর্ণোগ্রাফি নয়, এটা একজন অভিনেতার অভিনয়।
অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য ভাইরাল হওয়া ভিডিও সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি। কিন্তু পরিচালক জয়রাজ ভট্টাচার্য এই ভিডিওটির ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 2017 সালে তিনি ‘ঘচাং ফু’ ফিল্মটি নির্মাণ করেন। তাঁর ফিল্মের যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তা মাত্র 13 সেকেন্ডের। কিন্তু ফিল্মে চিত্রনাট্যের চাহিদা অনুযায়ী দৃশ্যটি অনেক দীর্ঘ ছিল। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখলে বোঝা যাচ্ছে, কোনো ব্যক্তি ফিল্মটি দেখার সময় কাঁচা হাতে নিজের মোবাইলে দৃশ্যটির ভিডিও তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে। এরপরেই অনির্বাণকে ‘বডি শেমিং’-এর মুখোমুখি হতে হয়। একজন অভিনেতার পক্ষে এর থেকে খারাপ মুহূর্ত আর কি হতে পারে! জয়রাজ সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পরিচালক জয়রাজ ভট্টাচার্য নির্মিত ফিল্ম ‘ঘচাং ফু’-তে অনির্বাণ ভট্টাচার্য ছাড়াও অভিনয় করেছেন কৌশিক মুখোপাধ্যায়, কমলিকা ব্যানার্জী প্রমুখ। জয়রাজ জানিয়েছেন, বিদেশের বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘ঘচাং ফু’ প্রশংসিত হলেও পশ্চিমবঙ্গে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। কিন্তু 2020 সালে এসে এই ফিল্মের দৃশ্য ভাইরাল হওয়ায় তিনি রীতিমত অবাক। এই মুহূর্তে অনির্বাণ ভট্টাচার্য অন্যতম সফল অভিনেতাদের মধ্যে একজন। কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ফিল্ম ‘ড্রাকুলা স্যার’। এই ফিল্মে অনির্বাণের অভিনয় যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে। করোনা অতিমারীর কারণে পঞ্চাশ শতাংশ দর্শকাসন নিয়ে সিনেমা হলগুলি খুললেও এই ফিল্মটি যথেষ্ট ভালো ব্যবসা করেছে। টলি টাউনের অনেকেই অনির্বাণের অভিনীত যৌনদৃশ্য ভাইরাল করার পিছনে বিভিন্ন সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন। কেউ বলেছেন, অনির্বাণের ইমেজে আঘাত হানার জন্য তাঁর কোনো শত্রু এই কাজ করেছে। অনেকে আবার বলছেন, পরিচালক হয়তো নিজেই করোনা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ফিল্মটি নতুন করে শিরোনামে নিয়ে আসার জন্য এই সস্তা পাবলিসিটি করেছেন।