গতবছর করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক বিশ্বের প্রত্যেক মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল। সেই সাথে বাংলায় আমফান ঘূর্ণিঝড়ের দাপট লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল। এখনো গতবছরের ঘূর্ণিঝড়ের রেষ কাটিয়ে উঠতে পারেনি দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবন এলাকার অনেকেই। ঝড়ের দাপটে ঘরবাড়ি, ক্ষেত জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই ভয়াবহ ঝড়ের স্মৃতি উসকে উঠলে গা শিউরে ওঠে। তবে পুরনো ঝড়ের স্মৃতি ভোলার আগেই আবহাওয়াবিদরা নতুন এক সাইক্লোনের পূর্বাভাস দিয়েছে। জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের বুকে একটি ঘূর্ণিঝড় ঘনীভূত হতে পারে।
প্রত্যেক বছরেই মার্চের শেষ থেকে মে মাস পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় সংঘটিত হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা থাকে। আসলে এই সময় বাংলায় ভ্যাপসা গরম ও সেই সাথে বাতাসে অতিরিক্ত জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ঘূর্ণিঝড় তৈরীর অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। বর্তমানে সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। আর সে জন্যই তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগর পৃষ্ঠে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প। আবহাওয়াবিদরা মনে করছে, মার্চের একদম শেষ প্রান্তে বা ২৯ মার্চে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। পরে অনুকূল জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিতে প্রবলভাবে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়াবিদদের প্রাথমিক অনুমান যে বঙ্গোপসাগর বুকে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা বা মায়ানমার উপকূলে আছরে পড়তে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে পশ্চিমবঙ্গে এসে ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা করতে পারে। ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ না জানা গেলেও তার নামকরণ করা হয়ে গেছে। প্রথা অনুযায়ী, আইএমডি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে যেহেতু এই ঝড়টি উত্তর ভারতের ৪০-৪৫ ডিগ্রি পূর্ব থেকে ৯৫-১০০ ডিগ্রি পূর্বে অবস্থিত। মার্চের শেষে পশ্চিমবঙ্গের বুকে আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় টাউকতে।