চলতি মাসেই বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে অনীক দত্ত পরিচালিত জিতু কমল অভিনীত ‘অপরাজিত’। ছবিতে জিতু কমলের লুক প্রকাশ্যে এসেছিল অনেকদিন আগেই। অভিনেতার সেই লুক সামনে আসার পর থেকেই দর্শকদের মাঝে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তখন থেকেই এই ছবির জন্য অপেক্ষায় দিনগোনা শুরু করে দিয়েছিলেন সকলে। ছবি মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথেই হলে ভিড় জমিয়েছেন দর্শকরাও। সাধারণ দর্শকদের উচ্ছ্বাস ও ভীড় দেখেই স্পষ্ট হয়েছে ছবির সফলতার কথা। বক্সঅফিসে ছয়দিনেই দেড় কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে এই ছবি, চমকে দিয়েছে সকলকেই।
ছবি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ছবির বক্সঅফিস কালেকশন নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই কারোরই। সম্প্রতি প্রযোজক রানা সরকার অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ ছবির বক্সঅফিস কালেকশন নিয়ে পোস্ট করেছেন। তার সেই পোস্ট রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে। প্রথম ছয়দিনেই এই ছবি দেড় কোটির বেশি কামিয়ে ফেলেছিল। উল্লেখ্য, গত শনিবার এই ছবি ১৮ লাখ; রবিবার ৩৯ লাখ; সোমবার ৩৪ লাখ; মঙ্গলবার ২৮ লাখ; বুধবার ৩০ লাখের ব্যবসা করেছে বক্সঅফিসে। পাশাপাশি তিনি এও উল্লেখ করে দিয়েছেন, তার সংগ্রহ করা এই ছবির আয়ের তথ্যের পরিমাণ সামান্য এদিক ওদিক হলেও খুব কম হবে না।
নন্দন এই ছবি না নেওয়ায় অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন প্রযোজক ফিরদৌসল হাসান। তৃতীয় সপ্তাহে এই ছবির জন্য আবারো অনুরোধ জানানো হবে নন্দনকে। তবে ছবির সাফল্য প্রযোজকের ক্ষোভ কমিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। আপাতত ৮’টা রাজ্যের ১৮’টি প্রেক্ষাগৃহে সফলতার সাথে চলছে এই ছবি। রানা সরকারের মতে এরপর এই ছবিটি কত টাকা আয় করেছে বক্সঅফিসে! তা যদি প্রকাশ্যে না আনা যায় তাহলে বিনিয়োগকারী কিংবা প্রযোজকরা ছবির পিছনে খরচা করতে আগ্রহী হবেন না।
এই প্রসঙ্গে অনীক দত্ত জানিয়েছেন, সাধারণ দর্শকরা যদি হলে এসে ছবি দেখেন তাহলে সেটা ভালো লাগবেই। তার মতে, মানুষ যত বেশি বাংলা ছবিকে সমর্থন করবেন, ভবিষ্যতে বাংলা ছবিতে তত বেশি বিনিয়োগ বাড়বে প্রযোজকদের। আর নিজের পরিচালিত এই ছবির সফলতা দেখে তিনি যথেষ্ট খুশি, তা তার কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে। তার কাছে প্রথম থেকেই তারকা নয় অভিনেতারাই গুরুত্ব পেয়ে এসেছে। আর যার জন্যই তিনি অভিনয়ের দিকটাই বেশি খতিয়ে দেখেন, আর ফলও পান হাতেনাতে।