একুশে নির্বাচনের আগে কোন রাজনৈতিক দল অন্য রাজনৈতিক দলকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে চায় না। প্রতিনিয়ত চলছে বাকবিতণ্ডার খেলা। বক্তব্য ও পাল্টা বক্তব্যের জেরে উত্তপ্ত গোটা বঙ্গ রাজনীতি। এরইমধ্যে গত শনিবার অর্জুন সিং এর গড়ে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে হাত ভাঙার হুমকি দিয়েছিল। তার পাল্টা জবাব আজ অর্থাৎ রবিবার দিলেন বিজেপি দাপুটে নেতা অর্জুন সিং। তিনি আজকের চা-চক্র থেকে বলেছেন, “আজই শ্রীরামপুর যাব। কে কার হাত ভাঙবে সেটা দেখা যাবে।”
গত শনিবার ব্যারাকপুরের জগদ্দলে সভা করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেদিন একাধিক ইস্যু নিয়ে বিপক্ষের বিরুদ্ধে গলায় সুর তুলেছিলেন। আর সেই সময়েই অর্জুন সিং ও শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি। অর্জুন সিং কে একহাত নিয়ে তিনি বলেছিলে, “আমি হুগলিতে কারো দাদাগিরি বরদাস্ত করব না। কেউ দাদাগিরি দেখালে তার হাত ভেঙে দেব।”
অন্যদিকে আজ রবিবার কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তিনি বলেছেন, “আজই আমি শ্রীরামপুর যাব। তারপর গিয়ে দেখছি কে কার হাত ভাঙতে পারে। আর সরকারে থাকলে অনেক কিছুই বলা যায়।” যতই একুশে নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই বঙ্গ রাজনীতিতে বেড়ে চলছে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের খেলা। যেমন বিজেপি নেতৃত্বরা তৃণমূলের ছেড়ে কথা বলে না ঠিক তেমন তৃণমূল নেতারা পাল্টা জবাব দিতে ভোলেনা। এক কথায় তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্বতে সরগরম হয়ে আছে গোটা বঙ্গ রাজনীতি। অন্যদিকে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিনামূল্যে করোনার টিকা দেওয়ার ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি সহকারি পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। তিনি জানিয়েছেন, “নির্লজ্জভাবে পিসি কেন্দ্রের কাজকে নিজের কাজ বলে ঘোষণা করে ভোটব্যাঙ্ক আদায়ের চেষ্টা করছে।”