শ্রাবন্তীকে অশালীন মেসেজ, বাংলাদেশের খুলনা থেকে গ্রেফতার যুবক

কিছুদিন আগেই টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি বাংলাদেশ হাই কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তি অশালীন মেসেজ করছেন। এমনকি মেসেজে ভারতবর্ষ নিয়ে রীতিমত আপত্তিকর মন্তব্য করা হচ্ছে। বাংলাদেশ হাইকমিশন শ্রাবন্তীকে আশ্বস্ত করে বলেন, তাঁরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। শ্রাবন্তীর অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি মাহবুবর রহমান নামে এক যুবককে বাংলাদেশের খুলনা থেকে গ্রেফতার করল খুলনা পুলিশ। এই যুবক খুলনা শহরের সোনাডাঙা থানার বকশীপাড়া রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। খুলনা পুলিশ বৃহস্পতিবার ওই যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে তুলেছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, অভিযুক্ত যুবককে আপাতত পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখা হবে। বাংলাদেশের সোনাডাঙা থানার এসআই মোহাম্মদ খালিদউদ্দিন বলেন, মাহবুবর শ্রাবন্তীর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে দিনের পর দিন শ্রাবন্তীকে কল করতেন। শ্রাবন্তী অপরিচিত নম্বর থেকে আসা কল না ধরায় মাহবুবর তাঁকে অশালীন মেসেজ করে উত‍্যক্ত করতেন। ওই যুবককে শ্রাবন্তী ব্লক করে দিলেও তিনি আবার অন্য নম্বর থেকে শ্রাবন্তীকে মেসেজ করতেন এবং বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব লিখে পাঠাতেন।

অপরদিকে শ্রাবন্তীও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন ধরে কয়েকটি অপরিচিত নম্বর থেকে তাঁকে রীতিমত আপত্তিকর মেসেজ পাঠানো হচ্ছিল। এমনকি ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হতো মেসেজে। তবে এই মেসেজগুলি হোয়াটসঅ্যাপে আসতো না। এগুলি শ্রাবন্তীর মোবাইলের মেসেজ বক্সে আসতো। শ্রাবন্তী অনেকবার নম্বরগুলি ব্লক করেছেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। উপরন্তু অন্য নম্বর থেকে মেসেজ পাঠানো হচ্ছিল। শ্রাবন্তী লক্ষ্য করেন, এগুলি সবকটি বাংলাদেশের নম্বর।

এরপর শ্রাবন্তীর স্বামী রোশনের পরামর্শে সেপ্টেম্বর মাসে শ্রাবন্তী বাংলাদেশ হাইকমিশনে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশে শ্রাবন্তীর পরিচিত লোকজনদেরও ঘটনাটি জানান শ্রাবন্তী। এরপর তাঁদের মাধ্যমে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে অভিযোগ করেন শ্রাবন্তী। ভারতীয় অভিনেত্রীর অভিযোগ পেয়ে নড়ে-চড়ে বসে বাংলাদেশ পুলিশ। এরপরই গ্রেফতার করা হয় মাহবুবরকে। শ্রাবন্তী জানিয়েছেন, তিনি কোনোদিন কোনো অন্যায় মুখ বুজে সহ্য করেননি। তিনি মনে করেন, অন্যায় মুখ বুজে সহ্য করাও একটি অপরাধ। একজন মেয়ে হিসাবে তিনি নিজের সম্মান রক্ষার্থে আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন।