বুধবার থেকেই লোকাল ট্রেন চলবে রাজ্যে। সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে প্রতিদিন ৬৯৬ টি রেল চলবে রাজ্যে। এর মধ্যে শিয়ালদা থেকে চলবে ৪১৩ টি ট্রেন। এছাড়া ২৭০ টি ট্রেন চলবে শিয়ালদা উত্তর ও মেইন লাইন শাখায়। সেখানেই শিয়ালদা দক্ষিণ থেকে চলবে ১৪৩ টি ট্রেন। অন্যদিকে হাওড়া ডিভিশনে চলবে ২০২ টি ট্রেন। বাকি ট্রেন চলবে খড়গপুর ডিভিশনে। রেল সূত্রের খবর, ৮১ টি ট্রেন চলবে খড়গপুর ডিভিশন।
ইতিমধ্যেই রেল পরিষেবা চালুর প্রস্তুতি শুরু করেছে রেল। জনতা কার্ফুর পর থেকেই বঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তার ঠিক আগে মাগেই মাসিক ত্রৈমাসিক পাস ইস্যু করেছিলেন বহু মানুষ। তাদের পাস কি জলে গেল? প্রশ্ন উঠেছে অনেকের মনেই। না না তা হবেনা। সোমবার থেকেই শুরু হয়ে গেছে আগের পাস রিনিউ তথা এক্সটেন্ড করার পদ্ধতি। তবে শুরুতেই এসেছে সমস্যা। অনেকেই অভিযোগ জানিয়েছেন যে, গড়িয়া থেকে বালিগঞ্জ বিভিন্ন স্টেশনে মান্থলি রিনিউ তে এসেছে সমস্যা। এসেছে লিংক ফেলইয়রের মতো সমস্যাও। ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই সমস্যার কারণে ৮ টার এক ঘণ্টা পরও শুরু করা যায়নি কাজ। ফলে ফিরে গেছেন অনেক যাত্রীই। রেল সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে এই বিপত্তি এসেছে লিংকের সমস্যার কারণেই। তবে এই সমস্যা শীঘ্রই সমাধান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে রেল।
অপরদিকে, প্রস্তুতির দিকে নজর দিয়েছেন ১০ জেলার পুলিশ সুপার সমেত জেলাশাসকরা ও। তারা আজ ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের সাথে। এই বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে এসওপি নিয়ে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে, এবং করোনা বিধি মেনে সমস্ত বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। রেল সূত্রে খবর যে, প্রথম দিকের ভিড় নিয়ন্ত্রণ একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। ফলে কেবল রেল পুলিশই নয়। এই বিষয়ে সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে রাজ্য পুলিশকে ও। সেই বিষয়েই আজকের বৈঠক বলে সূত্রের খবর।
রবিবার রাজ্যবাসীর জন্য লোকাল ট্রেনের বিষয়ে ট্যুইট করেন রেলমন্ত্রী। এইদিন তিনি লেখেন,”১১ নভেম্বর থেকে রাজ্যে চলবে ৬৯৬ টি লোকাল ট্রেন। সুরক্ষাবিধি মেনেই চালানো হবে ট্রেন। আশা করছি, আপনারা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবেন। আপনাদের যাত্রা সুখের হোক এই কামনা করি।”