বিশ্বে ক্রমাগত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। উদ্বেগ ক্রমশই দ্বিগুণ হচ্ছে নানান মহলে। যার ফলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজছে সকল দেশ। নিজের প্রতিপত্তি বিস্তার করে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ছে নোভেল করোনা ভাইরাস। এই নোভেল করোনা ভাইরাসের উৎস স্থল হুবেই প্রদেশের উহান শহরের অবস্থা বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল। WHO অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের পোশাকি নাম দিয়েছে কোভিড-১৯। চীন থেকে তা আস্তে আস্তে ছড়িয়ে গিয়েছে বাইরের দেশগুলোতেও। মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় এই ভাইরাসের প্রতিপত্তি বিস্তার লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে এবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ইতালি ও ইরান।
তবে করোনায় প্রভাব প্রবল হয়েছে ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ব্রিটেনে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১ জন, আক্রান্ত ১৯৫০। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থাও ভয়াবহ। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৫১৪, তার মধ্যে মৃত বলে জানা গিয়েছে ১১৫ জনকে। তবে এমন এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে টনক নড়িয়ে দেয় ব্রিটেনের ইম্পিরিয়াল কলেজের ম্যাথমেটিক্যাল বায়োলজির অধ্যাপক নিল ফার্গুসনের এর গবেষণা।
আরও পড়ুন : রক্তের গ্রূপের উপর নির্ভর করছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ, বলছে গবেষণা
তার গবেষণায় অধ্যাপক নিল ফার্গুসনের টিম জানিয়েছে, আরও খারাপ সময় আসছে গোটা বিশ্বের জন্য। করোনা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক না থাকায় আরও বাড়বে মৃত্যু মিছিল। যেখানে তাদের অনুমান ব্রিটেনে মৃত্যু হতে পারে ৫ লক্ষ এরও বেশি মানুষের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফল হবে আরও ভয়াবহ, সেখানে মৃত্যু হতে পারে ২২ লক্ষ মানুষের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বহু বড় বড় শহর করোনা ভাইরাসের প্রভাব আটকাতে বন্ধ রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক জনজীবন ব্যহত। যেখানে গোটা সমাজে আরোপ করা যায়নি বিধিনিষেধ, তার ফলে মৃত্যু আরও বাড়বে বলে মনে করছে ওই গবেষণার দল। তারা আরও জানিয়েছেন, এই ভাইরাসের প্রভাব পড়বে মূলত সমাজ ও অর্থনীতিতে, যার ফলে সামনে আসছে আরও খারাপ দিন।