অস্ট্রেলিয়ায় দাউ দাউ করে জ্বলেছিল বনভূমি, তারই মাঝে প্রথমবার জন্ম নিল ছোট্ট কোয়ালার ছানা
শ্রেয়া চ্যাটার্জি – গোটা বিশ্ব যখন করোনার আবহে সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতি প্রায় ধ্বংসের মুখে, প্রায় সমস্ত দেশের মানুষ কার্যত গৃহবন্দি হয়ে মন খারাপ করে বসে আছেন, সেই মুহুর্তে একটা ভালো খবর শোনাচ্ছে ‘অস্ট্রেলিয়ার রেপটাইল পার্ক’। আগের বছর বিধ্বংসী আগুনে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বনাঞ্চল। এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ওখানকার বাসিন্দা কোয়ালা সম্প্রদায়। হাজার হাজার কোয়ালা ঝলসে গিয়েছিল দাবানলে। তবে যারা বেঁচে ছিল, তাদের নিয়েই ভবিষ্যতে কোয়ালার বংশবিস্তারের বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
বিধ্বংসী দাবানলের পরে কোয়ালা ছানা ‘ash’ ও ‘জয়ী’ বা ‘joey’ জন্মগ্রহণ করেছে ‘অস্ট্রেলিয়ান রেপটাইল পার্কে’। চিড়িয়াখানা রক্ষক ড্যান রামসে জানিয়েছেন, ‘ash’ জন্মগ্রহণ করেছে জানুয়ারি মাসে, আর জয়ী তার তার মায়ের মধ্যে সাত মাস ধরে রয়েছে। রামসের কথা অনুযায়ী, পয়লা জুন প্রায় দুমাস লকডাউন থাকার পরে ‘অস্ট্রেলিয়ান রেপটাইল পার্ক’ জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এই সংরক্ষণের ফলেই পুড়ে যাওয়া কোয়ালার সংখ্যাকে আরো বাড়ানো যাবে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।
কিভাবে দাউ দাউ করে অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে ধ্বংস হয়ে গেছে বনাঞ্চল সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে গোটা বিশ্বের মানুষ চাক্ষুষ করেছেন। তার ফলে এই দাবানলের আগুনের রোষে ধ্বংস হয়ে গেছে কোয়ালা নামক এই সুন্দর প্রাণীটি। গবেষণায় উঠে এসেছে, পাঁচ হাজারেরও বেশি কোয়ালার মৃত্যু হয়েছে ঝলসে গিয়ে। এইভাবে যদি কোয়ালার সংখ্যাকে বাড়ানো যায় তাহলে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর প্রাণীগুলির মধ্যে একটি কোয়ালাও আনন্দে বাঁচতে পারবে। তাদের নানান রকম সুন্দর সুন্দর কেরামতি দেখিয়ে মানুষকেও আনন্দ দিতে পারবে।