ভারতে আধার কার্ড একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র। এটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই নয়, শিশুদের জন্যও সমানভাবে প্রয়োজনীয়। আধার কার্ড শিশুদের স্কুলে ভর্তি, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ, এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজের জন্য অত্যাবশ্যক। তাই শিশুর আধার কার্ড তৈরি করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকা খুবই জরুরি। শিশুদের আধার কার্ড তৈরির সময় সাধারণত কিছু ভুল হয়ে থাকে, যা ভবিষ্যতে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এ জন্য অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে এবং কিছু বিশেষ দিক লক্ষ্য রাখতে হবে।
প্রথমত, শিশুর নামের সঠিকতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আধার নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় অনেক বাবা-মা তাড়াহুড়ো করে শিশুর নাম বা উপাধি ভুল বানান করে ফেলেন। এটি পরবর্তীতে সংশোধনের জন্য সময় এবং অর্থের অপচয় হতে পারে। তাই, নাম নিবন্ধনে কোনও ভুল না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, পিতামাতার নামের সঠিকতা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। আধার কার্ডে বাবা বা মায়ের নাম ভুল হলে সেটিও ভবিষ্যতে সমস্যা তৈরি করতে পারে। অভিভাবকদের উচিত তাঁদের নামের বানান সঠিকভাবে দেওয়া, যেন কোনো জটিলতা না হয়। তৃতীয়ত, ঠিকানা সঠিকভাবে লেখা অত্যন্ত জরুরি। সাধারণত, বাবার আধার কার্ডের ঠিকানা থেকে শিশুর ঠিকানা নেওয়া হয়। তাই, নিশ্চিত করুন যে বাবার আধার কার্ডে প্রবেশ করা ঠিকানা সঠিক। ভুল ঠিকানা থাকলে পরবর্তীতে ডকুমেন্ট যাচাইয়ের সময় জটিলতা দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও শিশুদের আধার কার্ডটি পিতামাতার আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করা অত্যাবশ্যক। অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানের আধার কার্ডকে নিজেদের আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করেন না, যা উচিত নয়। শিশুদের আধার কার্ডের জন্য ‘বাল আধার’ এর প্রয়োজন। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য এই কার্ডে বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন আঙুলের ছাপ এবং চোখের রেটিনা স্ক্যান অন্তর্ভুক্ত থাকে না। ৫ বছরের পর এই তথ্যগুলো রেকর্ড করা হয়, তাই সময়মতো আপডেট করতে ভুলবেন না।সবশেষে, আধার কার্ড তৈরি করতে গিয়ে অভিভাবকদের সঠিক তথ্য প্রদান করা উচিত এবং সব ধরনের তথ্য যাচাই করে তবেই আবেদন করতে হবে। এতে ভবিষ্যতে সমস্যা এড়ানো সম্ভব হবে। সঠিকভাবে শিশুদের আধার কার্ড তৈরি করা, তাদের পরিচয় ও বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। তাই অভিভাবকদের উচিত সতর্কতা অবলম্বন করা এবং সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা।